ballobiye-1246

নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নূরুন নাহার আক্তার। বয়স সবেমাত্র ১২। গ্রামের মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। এই বয়সে বাবার জোর জবরদস্তির মুখে গত ২৪ নভেম্বর বাল্যবিয়ের শিকার হতে হয়েছে তাকে। কিন্তু বিয়েতে এতটুকু সায় ছিলনা তার। তাই প্রতিবাদী হয়ে ওঠে নিজের বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে। বিয়ে রুখে দিতে সহপাঠিদের নিয়ে হাজির হয় ইউএনও’র দপ্তরে। বাল্যবিয়ের জন্য বাবাকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ জানায় ইউএনওকে। বাবার বিরুদ্ধে কন্যার এমন অভিযোগ সৈয়দপুরে আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সৈয়দপুরের দুঃসাহসী নূরুন নাহার এখন পাকিস্তানের মালালা হয়ে উঠেছে।

গত ২৪ নভেম্বর উপজেলার কামারপুকুর ইউপি নিজবাড়ী গ্রামের মাদ্রাসা ছাত্রী নূরুন নাহার আক্তারকে তার বাবা নবিউল ইসলাম কালা জোরপূর্বক বাল্যবিয়ে দেয়। এ বিয়ের প্রতিবাদে পরদিন (২৫ নভেম্বর) ইউএনও আবু ছালেহ মো. মুসা জঙ্গীর নিকট বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় কন্যা নূরুন নাহার। অভিযোগে বাবার বাল্যবিয়ে আইনে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়। এ ঘটনার পর থেকে তার বাবা-মা গা ঢাকা দিয়েছিলেন। নূরুন নাহার নিজের নিরাপত্তাহীনতায় আশ্রয় নেয় মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বাড়িতে।

ঘটনার ৭দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও মেয়েটির পিতা-মাতাকে পুলিশ ধরতে না পারায় মেয়েটি ও আশ্রয় প্রদানকারী অধ্যক্ষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। মেয়েটির ভবিষ্যত ও অধ্যক্ষের নিরাপত্তা নিয়ে সৃষ্টি হয় ধোয়াশার। এমন আশঙ্কার উপর গতকাল মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) নীলফামারীনিউজে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

অবশেষে পুলিশের চেষ্টায় সৈয়দপুর শহরের দারুল উলুম এলাকা থেকে নুরন নাহারের পিতা কালা আটক হয়। আজ বুধবার দুপুর ১২ টায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ওসি আমীরুল ইসলাম নীলফামারীনিউজ-কে জানান, আটক নবিউল ইসলাম কালাকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ মুসা জঙ্গী আজ দুপুরে তাকে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে