নীলফামারী থেকেঃ দেশের শেষ স্টেশন নামে পরিচিত নীলফামারী জেলার ডোমারের চিলাহাটি রেলস্টেশন। রেল জংশন না হলেও ৩টি ট্রেন এখানে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে। কিন্তু এ এলাকাবাসির দাবি ছিল আরও ২টি ট্রেন চালুর। অবশেষে পূরণ হতে চলেছে সেই দাবি।

ডোমার উপজেলার চিলাহাটি একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিত হতে শুরু করেছে। শুধু এখানে স্থলবন্দরটি চালু হলেই অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলের তুলনায় চিলাহাটিও কম হবে না। কারণ, রেল সূত্রে জানা যায়, চিলাহাটি হতে ভারতের হলদিবাড়ী পর্যন্ত রেল যোগাযোগ অনতিবিলম্বে চালু হবে। আরও জানা যায়, রেল চালুকরণের সব রকম কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। শুধু দুদেশের উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকের অপেক্ষায় চিলাহাটি রেলস্টেশন হতে বাংলাদেশ-ভারত রেল যোগাযোগ থেমে আছে। তাই চিলাহাটি বাসির দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পাশাপাশি দুটি জেলার মানুষের ব্যবসা-ভ্রমণ ও অন্যান্য কাজে যাতায়াতের সুবিধার প্রয়োজনে আরও দুটি ট্রেন চালু করণের।

নীলফামারী জেলাসহ পাশের পঞ্চগড় জেলার প্রায় হাজার হাজার মানুষ ব্যবসার কাজে, ভ্রমণের জন্য স্বল্প ব্যয়ে নিরাপদ ভ্রমণে রেল ব্যবহার করে এই রুটে যাতায়াত করে। চিলাহাটি হতে বর্তমানে ৩টি ট্রেন চালু আছে। চিলাহাটি-ঢাকা ক্যান্টনমেন্টগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন; যেটা রাত ৯.৫০টায় চিলাহাটি ছেড়ে যায়; সন্ধ্যা ৬.২০-এ প্রবেশ করে। চিলাহাটি-রাজশাহীগামী তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর ১.৪৫টায় চিলাহাটিতে প্রবেশ করে এবং ২.২০টায় এখান থেকে ছেড়ে যায়। আবার খুলনা রকেট ট্রেনটি সকাল ৬.২০টায় প্রবেশ করে এবং চিলাহাটি ছেড়ে যায় ৭.১০মিনিটে। জনসংখ্যার দিক থেকে আরও ২টি ট্রেন চিলাহাটি হতে চালু করণের দাবিটি ছিল চিলাহাটিবাসির যৌক্তিক দাবি।

বিশেষ সূত্রে জানা যায়, জানুয়ারী’১৭ সালে চালু হতে যাচ্ছে চিলাহাটি হতে কাংখিত ট্রেন ২টি । যার ১টি বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও অপরটি রুপসা সীমান্ত। বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি চিলাহাটি হতে রাজশাহী পর্যন্ত এবং রুপসা সীমান্ত ট্রেনটি চিলাহাটি হতে খুলনা পর্যন্ত চলাচল করবে। তবে দিনের কখন কখন ট্রেন দুটি যাতায়াত করবে সেটা জানা যায়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে