শ্রী ঃ মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁ জেলাধীন নিয়ামতপুর উপজেলার বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজের আলোচিত অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন এক কোটি ছাব্বিশ লক্ষ আটষট্টি হাজার পাঁচশত টাকা কলেজের বিভিন্ন মৌজার জমির আয়ের উৎস থেকে অধ্যক্ষ বিভিন্ন অকৌশলে আত্নসাৎ করেছেন বলে গত ১৮/০৯/২০২২ইং তারিখে লিখিত অভিযোগ করছেন দুদক চেয়ারম্যান বরাবর ও অনুলিপি প্রদান করেছেন (১) কলেজ পরিদর্শক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, (২) মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা, (৩) পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অঞ্চল, রাজশাহী।

(৪) চেয়ারম্যান, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী।(৫) জেলা প্রশাসক, নওগাঁ। অভিযোগ করেছেন কলেজ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য মোঃ আঃ হাকিম প্রাং ও এলাকাবাসী। অভিযোগে আরো জানা যায় অধ্যক্ষ কলেজে নানা অনিয়ম, নিয়োগ জালিয়াতি ও নিয়োগ বানিজ্য করে আরো ব্যাপক অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। আরো জানা যায় অধ্যক্ষের নিয়োগ জালিয়াতির জন্য একাধিক শিক্ষক দীর্ঘদিন যাবত ন্যায্য বেতন ভাতাদি পাচ্ছেন না।

অধ্যক্ষ কর্তৃক নিয়োগ জালিয়াতির বিষয় টি রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের পরিচালক মহোদয় তদন্ত করে প্রমাণ পেয়েছেন। অধ্যক্ষের অনিয়মের বিষয় গুলো এলাকা বাসী একাধিক বার অধ্যক্ষকে মৌখিক ভাবে বলার পরেও অধ্যক্ষ তা আমলে নেন নাই। অভিযোগ কারি বলেন অধ্যক্ষ নিজের অপরাধ লুকানোর জন্য বর্তমানে অধ্যক্ষ নানা ষড়যন্ত্র, মিথ্যা অপবাদসহ ভুক্তভোগী শিক্ষক দেরকে নানাভাবে কলেজে হয়রানি করছেন। আরো জানা যায় যে, অধ্যক্ষ কলেজের শিক্ষার মান, সুনাম ও ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে একাধিক শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সনদ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। যা খতিয়ে দেখা জরুরি দরকার বলেছেন।

অভিযোগ কারি আরো বলেন উক্ত কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের শিক্ষকের বৈধ নিয়োগ বোর্ডের সকল কাগজ অধ্যক্ষ জালিয়াতি করে ভুয়া পাঁচটি বিষয় যথাঃ বাংলা, ইংরেজি, দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ভূগোল অধ্যক্ষ ভুয়া নিয়োগ দেখিয়েছেন।

জানা যায় অধ্যক্ষ গোপনে মূল রেজুলেশন কাটাকাটি করে ভুয়া নিয়োগ দেখিয়েছেন। যার জন্য বৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত অর্থনীতির শিক্ষক মোঃ এরশাদ আলীর ন্যায্য বেতন ভাতা ২০১৯ সালের জুন- জুলাই মাস থেকে এখন পর্যন্ত চালু হচ্ছে না, অধ্যক্ষ কর্তৃক মূল রেজুলেশন কাটাকাটি করার জন্য
অভিযোগে আরো জানা যায়, অধ্যক্ষ মোঃ আমজাদ হোসেন স্বল্প সময়ে রাজশাহী শহরের বহরমপুর এলাকায় জমি ক্রয় করে বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করেছেন যা অধ্যক্ষের আয়ের সাথে সঙ্গতিহীন।

অভিযোগ কারি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয় টি খতিয়ে দেখার দাবি করেন। অভিযোগে আরো জানা যায়, মহান উক্ত কলেজটি এখন অধ্যক্ষ কর্তৃক নানা অনিয়ম, দূর্নীতি, নিয়োগ জালিয়াতি ও টাকা লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এতে করে শিক্ষার গুণগত মান, সুনাম ও উন্নয়নের ধারা অধ্যক্ষ নষ্ট করছেন। অভিযোগ কারিগণ আরো বলেন বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজের বর্তমান সকল অবকাঠামো ও উন্নয়নমুলক কাজ সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থে নির্মিত হয়েছে।

অভিযোগ কারি গণ যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি করেন যে, স্বল্প সময়ের মধ্যে ভুক্তভোগী অর্থনীতি বিষয়ের শিক্ষক মোঃ এরশাদ আলীর ও অন্য ভুক্তভোগী শিক্ষকের বেতন- ভাতাদি চালু করনে ও অধ্যক্ষের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহন প্রয়োজন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে