মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিথিঃ অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী (ইজিপিপি) উপকারভোগীর কাছ থেকে সীম তুলে নিয়ে চেয়ারম্যান, মেম্বারের পকেট জাত করেছে। উপকারভোগীরা এখন ধরণা দিচ্ছে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বাড়ী বাড়ী।

এ বিষয়ে বিশটির উপরে অভিযোগ পড়েছিল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তিনি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের বলার পড়েও তারা তালিকায় নতুন নাম দিয়ে ছিল তখন পুটিমারী ইউপির কিছু উপকারভোগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, প্রকল্প বাস্থবায়ন অফিসার, চেয়ারম্যান, সচিবের নামে মামলা করেছিল নীলফামারী কোর্টে।

তার পরেও ক্ষান্ত হয়নি চেয়ারম্যান, মেম্বাররা, পুরাতন সদস্যদের পাশাপাশি রকেটের কর্মচারীর সাথে আতাত করে নতুন সদস্যর নাম তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করেছে। শুধু তাই নয় সেখানে তাদের পরিচিত বিভিন্ন ব্যাক্তির নাম নাম্বার, রকেট কর্মচারীর নাম্বার ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করে মেম্বার, চেয়ারম্যান সে টাকা আৎসাত করেছে।

এদিকে রকেট কর্মচারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৩০ মে মেম্বার, চেয়ারম্যান যে, নতুন তালিকা করে জমা করেছে সেই সেই নাম্বারের মোবাইল রকেট একাউন্ডে ১৬ হাজার ২ শত টাকা করে জমা হয়ে গেছে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১ হাজার ৭ শত ২৩ জনের রকেট একাউন্ডে টাকা চলে গেছে। কিন্তু সীম উপকার ভোগীর কাছে নেই আছে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে।

চাঁদখানা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হাসানুরকে সীমের বিষয়ে কথা বললে তিনি সত্যতা স্বীকার করেন। বলেন আমিতো এবারে নতুন মেম্বার হয়েছি। চেয়ারম্যান আমাকে সীম নিতে বলেছে তাই আমি সীম নিয়েছি।

এ ব্যাপারে চাঁদখানা ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান বলেন সীম নেয়া হয়েছে বললে তিনি বলেন আমি ও সব কিছু জানিনা।

গত ৩১ মে চাঁদখানা ইউনিয়নের ৩ ও ৪ নং ওয়ার্ডের কিছু উপকারভোগী টাকা না পাওয়ায় উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন অফিসার আবুল হাসনাতের কাজে আসলে তিনি তাদের সাথে ভাল আচরণ করেনি, বরং রাগানিত্বো সরে বলেন চেয়ারম্যানের কাছে যান। এখানে কি বলে তাদের চলে যেতে বলে। ঠিক সে সময় সাংবাদিক সেখানে গেলে তিনি বলেন, মেম্বার ও চেয়ারম্যানরা সমন্বয় করে টাকা দিবে।

একই অবস্থা সকল ইউনিয়নের টাকা চেয়ারম্যান মেম্বারা উত্তোলন করে ভাগাভাগি করে দিচ্ছে। যারা টাকা নিতে আপত্তি করছে তাদের বলছে তোমার নাম পরবর্তিতে আর থাকবেনা কিন্তু। কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নে পুরাতন উপকারভোগীদের ৬ হাজার ৮শত টাকা করে দিয়েছে। এভাবে সকল ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসূচীর ( ইজিপিপি)র টাকা দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই- আলম সিদ্দিকীকে তার মুঠোফোনে কল করলে তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে