জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ বিগত ১৪ বছরে বিদ্যুৎ, গ্যাস, যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থা, প্রযুক্তি, খাদ্য উৎপাদন, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

যার চলমানতা বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বাসস্ট্যান্ড হতে ডাঙ্গাপাড়া হয়ে পান্তাপাড়ার সড়কটি অবহেলিত রয়ে গেছে। যা স্বাধীনতার ৫২ বছর পড়েও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে প্রদীপের নিচটা অন্ধকার থাকে সবসময়ই।

অত্র এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি এ রাস্তা নিয়ে সংসদ সদস্য থেকে বিগত দিনের পৌরসভার মেয়রগন ছিলেন উদাসীন।

বিগত মেয়র বিএনপির ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট উক্ত রাস্তাটি সম্পর্কে পৌর নির্বাচনের সময় এলাকাবাসীকে বলেছিলেন, এ রাস্তা পাকা করা হলে বড়পুকুরের পানি যাবার স্হান থাকবে না, তাই এ রাস্তা সংস্কার করা হয়নি।

পরবর্তী সময়ে এ পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হন ইলিয়াস হোসেন বাবলু, ইতিমধ্যেই তিনি এ পৌরসভার প্রায় সকল সড়ক সংস্করণ ও উন্নয়ন করে চলেছেন।

এলাকাবাসী জানান, এ সড়ক নিয়ে কারো মাথাব্যাথা ছিল না। বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম রুবেল চৌধুরী বেঁচে থাকাকালীন উনি নিজের টাকায় বহুবার এ সড়ক সংস্করণ করেছেন। বর্তমান সফল মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু জলঢাকার অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন ও করছেন, তিনি চেষ্টা করছেন দ্রূত এ সড়ক নির্মাণ করতে। ইতিমধ্যে মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু ও কাউন্সিলর আনোয়ার রাস্তাটির পানি নিষ্কাসনে ব্যবস্থা করেছেন, আমরা আশাকরি রাস্তাটি দ্রূত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করা হবে।

এ বিষয়ে অত্র ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বর্তমানে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কের সংস্কার কাজের শুরু করেছি। দ্বিতীয় ধাপে অবশ্যই এ রাস্তা নির্মাণ করা হবে।

সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা জানান, এ আসনে অতিথি সংসদ সদস্য থাকায় এলাকার উন্নয়ন হয়নি। আগামী সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নমিনেশন দিলে ও সাংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম এ রাস্তা নির্মাণ করা হবে ইনশাআল্লাহ।

এ বিষয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য অব: মেজর রানার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ব্যস্ত রয়েছি পড়ে কথা বলবো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে