মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করোনাকালীন বরাদ্দের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের পর এবার স্কুল ক্যাম্পেইনের ভাতার টাকা পকেটজাত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার অধীনস্ত ৪২ জন স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারী জেলা সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, সম্প্রতি ৫ হতে ১১ বছর বয়সী স্কুল ক্যাম্পেইন ১ম ও ২য় রাউন্ডে করোনার টিকাদান সম্পন্ন করেন উপজেলা এইচএ ও এফডাব্লুএ স্বাস্থ্যকর্মীগণ। জেলা সদর ও অন্যান্য উপজেলায় দুই রাউন্ডে টিকাদানের জন্য তারা ওয়ার্ড প্রতি ৩৯ হাজার ১০০ করে টাকা পেয়েছেন। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু শফি মাহমুদ উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ডে দুই রাউন্ড টিকা দানের জন্য স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারীদেরকে (এইচএ ও এফডাব্লুএ) ১৯ হাজার ৯০০ টাকা করে দিয়েছেন। ওয়ার্ড প্রতি তাদেরকে ১৯ হাজার ২০০ করে টাকা কম দিয়ে তিনি পকেটজাত করেছেন।
এর আগে ৬ মার্চ শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে করোনাকালীন বরাদ্দের কোটি টাকা দুুর্নীতির অভিযোগ দেন। ২৭ মার্চ তার অপসারণের দাবিতে উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ মানববন্ধন করেন। এবার স্কুল ক্যাম্পেইনের ভাতার টাকা কম দেওয়ায় অধীনস্তরা ফুঁসে উঠেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু শফি মাহমুদ জানান, ওনারা এই অভিযোগের কপি সিএস অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় দিয়েছেন। এটা সম্পর্কে আমি এখন কোন মন্তব্য করবো না। এটার ব্যাখ্যা আমি এখন দিব না। এছাড়া অন্যান্য বরাদ্দের ২০ পারসেন্ট কর্তনের বিষয়টি সঠিক নয়।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ হাসিবুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে দিব। এর আগে ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করোনাকালীন বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো তদন্ত রিপোট পাইনি।