songsod

বিডি নীয়ালা নিউজ (১লা ফেব্রুয়ারী১৬)- ঢাকা প্রতিনিধিঃ সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ পর্যন্ত করার দাবি উঠেছে জাতীয় সংসদে।  সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কমনা করে বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন করছে। তাদের প্রতি দলমত নির্বিশেষে সব সচেতন মানুষের সমর্থন রয়েছে।

সোমবার রাতে জাতীয় সংসদের অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।

জিয়াউল হক মৃধা বলেন, রাজধানী ঢাকার শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ব্যানারে বড় করে লেখা ছিল, `মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বয়স বাড়ান, জীবন বাঁচান’। পুলিশি হস্তক্ষেপে আন্দোলনকারী নেতাদের আটক করে অবরোধ থামিয়ে দেওয়া হলেও বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, সেশনজোট, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা কারণে অনেক চাকরিপ্রার্থীর বয়স ৩০ পেরিয়ে যায়। এ কারণে তারা সরকারি চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। অপরদিকে, অনেক প্রতিভাবান ছেলে শুধু বয়সের হেরফেরের কারণে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি থেকে বঞ্চিত হন। ফলে রাষ্ট্রও বঞ্চিত হয় তাদের সেবা থেকে। এটি জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।

তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়স আমাদের চাইতে বেশি হলেও আমাদের দেশে কম। এটি একটি ঔপনিবেশিক ব্যবস্থা। যার ফলে শিক্ষিত বেকারে দেশে ছেয়ে গেছে।

অপরদিকে, সব সরকারি দফতরে শূন্য পদের ছড়াছড়ি। আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন- চাকরিকালীন অবসরের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। অথচ চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানো হবে না কেন? অবরোধকারীদের দাবি এখন সময়ের দাবি। আমার মনে হয়, অবরোধকারীদের প্রতি সচেতন সব মানুষের সমর্থন রয়েছে। এমতাবস্থায় এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে