বিডি নীয়ালা নিউজ(১৫জানুয়ারি১৬)- অনলাইন প্রতিবেদনঃ ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তিন মাসের মধ্যে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র না হলে বিঘ্নিত হতে পারে ঢাকা-লন্ডন রুটে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট । তেমনি ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু কঠিন হবে।
সম্প্রতি ঢাকা ঘুরে যাওয়া মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সন্ত্রাসবাদ দমন বিভাগের এক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় এ অভিমত দিয়েছে।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন গতকাল জানান, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়াতে সময়সীমা ধরে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। এতে জনবল নিয়োগ, জনবলের প্রশিক্ষণ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে তার সঠিক ব্যবহার এবং নিরাপত্তা বাড়াতে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তার তদারকির বিষয়গুলো রয়েছে। ১১ জানুয়ারি ওই কর্মপরিকল্পনাটি যুক্তরাজ্যের কাছে বিনিময়ের পর বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য ২৫০ জনের সমন্বয়ে প্রস্তাবিত বিশেষায়িত বাহিনী অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্স (এভসেক) কাজ শুরুর আগে অন্তর্বর্তী সময়ে বিমানবাহিনী, পুলিশ ও আনসারের ১০০ সদস্যের একটি দল কাজ করবে। কাজে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের প্রশিক্ষণ চলবে।
পররাষ্ট্র এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি ঢাকা সফরের সময় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সন্ত্রাসবাদ দমন ব্যুরোর তিন কর্মকর্তা আনন্দ প্রকাশ, এলিজাবেথ ইনগালস ও ক্রেইগ কিন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুটি আলাদা বৈঠক করেন। আলোচনায় মার্কিন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। ভবিষ্যতে সন্ত্রাস দমন ও নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে বিমানবন্দর বিশেষ গুরুত্ব পাবে, এমনটা আভাস দিয়ে গেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
দুই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, মার্কিন কর্মকর্তারা আলোচনায় যুক্তরাজ্যের বিমান নিরাপত্তাবিষয়ক দপ্তরের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ এনেছেন। যুক্তরাজ্যের প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্রও বিবেচনায় নিয়েছে বলে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মানদণ্ড দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে নিতে হবে। তা না হলে খুব শিগগির ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে সরাসরি ফ্লাইট আবার চালু সম্ভব হবে না। তা ছাড়া পরিস্থিতির কতটা উন্নতি হয়েছে, সেটি দেখতে আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রান্সপোর্ট সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসবে।