Tofayel

বিডি নীয়ালা নিউজ(৫জানুয়ারি১৬)- অনলাইন প্রতিবেদনঃ ভাবে বোঝা যায় ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অংশ নেবেন’ বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া আমরা ওই দিনটার জন্য অপেক্ষায় আছি। আপনার অবস্থা এবারের মেয়র ইলেকশনের মতো হবে। ওই নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হব ইনশা আল্লাহ।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে রাসেল স্কয়ারে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশ ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তোফায়েল আহমেদ।
বিএনপি নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে তোফায়েল বলেন, ‘আপনি বলেছেন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নয়, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন ঘটাবেন। বেগম খালেদা জিয়া আমরা ওই দিনটার জন্য অপেক্ষায় আছি। আপনার অবস্থা এবারের মেয়র ইলেকশনের মতো হবে। ওই নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হব ইনশা আল্লাহ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ ডাকলেন। আজ পর্যন্ত অবরোধ প্রত্যাহার করেন নাই। ওনার অবরোধের মেয়াদ আজকে এক বছর। উনি বলেছিলেন—শেখ হাসিনার পতন না ঘটিয়ে ঘরে ফিরবেন না। কিন্তু উনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে ঘরে ফিরলেন। আপনি আরও বহুবার আত্মসমর্পণ করবেন। কারণ আপনাদের পরাজয় শুরু হয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে সমাবেশে বলেন, ‘নির্বাচন না হলে দেশে মার্শাল ল আসত, দেশে মার্শাল ল না আসার জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানো উচিত। কিন্তু আপনি এটা জানাবেন না। কারণ আপনার মন এত উদার নয়। আপনি ধন্যবাদ জানানো শেখেন নাই।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক বন্ধুরা লিখে রাখেন ২০১৯ সালে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে শেখ হাসিনার অধীনে খালেদা জিয়া নির্বাচনে আসবেন। খালেদা আন্দোলনেও পরাজিত হয়েছেন, নির্বাচনের মাঠেও পরাজিত হয়েছেন। কোনো মাঠেই তিনি আর ছাড় পাবেন না।’
সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজলুল করিম সেলিম খালেদা জিয়ার আলোচনায় বসার প্রস্তাবের বিষয়ে বলেন, ‘উনি আইন মানেন না, আদালত মানেন না, সংসদ মানেন না। উনি একটাই পারেন- পাকিস্তানের পরামর্শে বাংলাদেশকে ধ্বংস করা। আর কিছুই পারেন না। তো ওনার সঙ্গে কীসের আলোচনা? যুদ্ধাপরাধীদের যদি ৪৪ বছর পর মানবতাবিরোধী অপরাধে বাংলার মাটিতে বিচার হয়ে থাকে। খালেদা জিয়াকেও ২০১৪ ও ২০১৫ সালে মানুষ হত্যার জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। সন্ত্রাসী-নাশকতাকারীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হতে পারে না।’
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বক্তব্য দেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে