জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে অবৈধ সড়ক দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে পৌরসভা। ১৬ নভেম্বর সকালে সড়কের ফুটপাতে বিভিন্ন ধরনের দোকান, যত্রতত্র রাস্তা দখল মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আক্তার জাহান। অভিযান শেষে বিকেলে পৌরসভার কক্ষে সাংবাদিকদের মেয়র এসব কথা বলেন।
মেয়র আরও বলেন, শহরের ফুটপাত অবৈধ দখলদারদের স্বেচ্ছায় দখল ছেড়ে দেয়ার আহবান-অনুরোধ জানালেও তারা জবর দখল করে রেখেছে ৷ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হলে কিছু ব্যবসায়ী পরিকল্পিতভাবে আমাদের পৌরসভায় এসে হামলা করে ৷
মেয়র বলেন, ‘সৈয়দপুরে হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ, যেখানে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী আসা-যাওয়া। চিকিৎসা নিতে মুমূর্ষু রোগীও আসেন। এই সড়কটির উভয় পাশের ফুটপাত দখল করে দোকান, গাড়ি পাকিংয়ের কারণে সাধারণ মানুষও চলাচল করতে পারে না। এতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ও শিক্ষার্থীদের অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এছাড়া প্রধান সড়কের উভয় পাশের ফুটপাতের দোকান, কয়েকটি অবৈধ স্টেশন, বিভিন্ন দোকানের সামনের সড়ক দখল করে পণ্য রাখার কারণে তীব্র যানজটের ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। শহরের পাঁচ মাথা মোড় থেকে দিনাজপুর রোড বিএনপির অফিস পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পুরোই যেন গাড়ি পাকিং স্টেশন হয়ে উঠেছে। এভাবে চলতে পারেনা।
তিনি আরও বলেন, শহরের সব দখল করে অবৈধ দোকান গড়ে তুলেছে ৷ রয়েছে অবৈধ স্টেশনও। বৃহস্পতিবার এসব উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অভিযান। ধারাবাহিকভাবে পৌরসভার সকল রাস্তা দখল মুক্ত করা হবে।
যানজট নিরসরে অবৈধ ইজিবাইক ও অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘আঠারো বছরের নিচে কেউ গাড়ি চালক হতে পারবে না। একটি পরিকল্পিত শহর করতে যা করার প্রয়োজন তা করা হবে।
পৌর কক্ষে উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) সাইফুল ইসলাম, পৌর নির্বাহী প্রকোশলী শহিদুল ইসলাম, ইন্জিনিয়ার আবদুল খালেক, প্যালেন মেয়র শাহিন হোসেন, মহিলা সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলার কাজী জাহানারা বেগম, রুবিনা শাকিল, ইয়াসমিন পারভীন, আফরোজা ইয়াসমিন, কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম রয়েল, মোহাম্মদ আলী, বেলাল আহমেদ, হিসাব রক্ষক আবু তাহের, মানিক সুমনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।