মোঃ আমজাদ হোসেন: জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের বৃদ্ধিগ্রামের আব্দুল মজিদ বুলু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার সব আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত বুলুর বাড়ীতে সরেজমিনে গেলে তার পরিবারের সদস্যরা নির্মম এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সব খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ বিচার চান।

নিহত বুলু’র ছেলে আকাশ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার বাবাকে যাঁরা পিটিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে আমরা তাদের বিচার চাই । আমার বাবার কোন দোষ ছিল না, অপরাধ ছিলনা। কিন্তু তারা আমার বাবাকে মারপিট নির্যাতন করে হত্যা করেছে খুনিদের ফাঁসি চাই। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যাক্তিকে হারিয়ে শোকে শোকাহত পরিবারটি।

নিহত বুলুর ভাই ফেরদৌস আলম বলেন, ওইদিন আমার ভাইয়ের খুনিরা ভাইকে আটকে রেখে আমাকে ফোন করে টাকা নিয়ে যেতে বলে। খুনিরা আমার ভাইয়ের কাছ থেকে কোনো টাকা পায় না। অথচ তারা আমার ভাইকে আটকে রেখে মারপিট নির্যাতন করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এখন আমাদের দাবি, এ মামলার সব আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে এদের দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানাগেছে,
আব্দুল মজিদ বুলু চাকুরি দেওয়ার নাম করে বেশ কিছুদিন আগে তার চাচা শ্বশুর জয়পুরহাট সদর উপজেলার চক বরকত গ্রামের খাইরুল ইসলামের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নেন। পরে চাকুরি দিতে না পারায় ভাতিজি জামাই বুলুর কাছ থেকে টাকা ফেরত চান চাচা শ্বশুর খাইরুল। এ নিয়ে গত (২৬ মে) বিকেলে বুলুকে জয়পুরহাট শহরের কাশিয়াবাড়ী স্কুল এলাকায় ধরে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে মারপিট করে খাইরুল সহ তার সহযোগীরা। পরে আহত বুলুকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেন স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এঘটনায় নিহত বুলুর বড় ছেলে আজাদ হোসেন বাদি হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

জয়পুরহাট সদর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, এঘটনায় নিহতের ছেলে বাদি হয়ে ১০ জনকে আসামী করে মামলা করেছে। মামলার মূল আসামীসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাঁকি আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে