সাম্প্রতিক সংবাদ

নিম্নমানের বই শিক্ষার্থীদের হাতে

notunboi

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৪জানুয়ারি১৬)- অনলাইন প্রতিবেদনঃ  সারা দেশের শিক্ষার্থীরা সময়মতো পাঠ্যবই পেলেও প্রশ্ন উঠেছে  বইয়ের মান নিয়ে । প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বইয়ে নিম্নমানের কাগজ ব্যবহার করায় অনেক ক্ষেত্রে ছাপা অস্পষ্ট হয়েছে। বাঁধাইয়ের কাজটাও ঠিকমত  হয়নি। ফলে এ বই কত দিন টিকবে, তা নিয়ে শঙ্কিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), দাতাদের মধ্যে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথকভাবে পাঠ্যবইয়ের মান যাচাই শুরু করেছে।
এডিবির নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম পাঠ্যবইয়ের মান যাচাইয়ের জন্য ভারতের একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এডিবি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এনসিটিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানও এ পর্যন্ত ১০০ উপজেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিম্নমানের কাগজে ঝাপসা বই ছাপার প্রমাণ পেয়েছে।
এ ছাড়া মান যাচাইয়ে এনসিটিবির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রতন সিদ্দিকীকে প্রধান করে ১১ সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতেও গত মঙ্গলবার নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই ছাপার বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছে।
বিভিন্ন শ্রেণির ১১টি নতুন বই সংগ্রহ করে দেখা যায়, এগুলোর কাগজ ও ছাপার মান খারাপ। কোনো কোনো ছবি থেকে কালি উঠছে। ছবির ব্যক্তিদের চেহারা অনেক ক্ষেত্রে বোঝা যাচ্ছে না। প্রাথমিকের কাগজ, ছাপা ও বাঁধাই খারাপ, মাধ্যমিক স্তরে ছাপা ও বাঁধাই খারাপ হয়েছে। মুদ্রাকরেরা বিষয়টি মানলেও নানা কারণ দেখাচ্ছেন।
ঢাকায় ছাপা ও বাঁধাইয়ের মান তুলনামূলক ভালো হলেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় তা খারাপ হয়েছে। রাজশাহী গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষক আজমিরা খাতুন বলেন, প্রাথমিকের বইয়ের কাগজ ও ছাপার মান গত বছরের চেয়ে বেশ খারাপ। রাজশাহীর লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারুক হোসেন বলেন, মাধ্যমিকের বই এমনভাবে বাঁধাই করা হয়েছে যে মেলতে গেলেই সুতা ছিঁড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এমনিতে শিশুদের হাতে বই বেশি ছিঁড়ে। নিম্নমানের বাঁধাইয়ের কারণে দ্রুতই বইগুলো পড়ার অযোগ্য হয়ে যাবে।
বইয়ের মান খারাপ পাচ্ছে কন্টিনেন্টাল: বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবই সংগ্রহ করে দেখা গেছে, চার রঙের পাঠ্যবই ৮০ গ্রাম সাদা কাগজে ছাপার যেসব শর্ত ছিল, তা মানা হয়নি। বইয়ের বেশির ভাগ ছবি ঝাপসা, নড়বড়ে বাঁধাই। কাগজ ও বইয়ের মান দেখভালের জন্য এনসিটিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কন্টিনেন্টাল বিডি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক শেখ বেলাল হোসেন  বলেন, ‘বেশ কয়েকটি প্যাকেজের কাগজে ত্রুটি পেয়ে বিষয়টি এনসিটিবিকে জানানো হয়েছে। আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না, এনসিটিবিকে অবহিত করাই আমাদের কাজ, সেটি নিয়মিত করা হচ্ছে।’
বইয়ের মান সম্পর্কে শেখ বেলাল বলেন, ৫০৮টি উপজেলা থেকে কন্টিনেন্টাল বই সংগ্রহ করে দরপত্রের শর্তের সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে। ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ উপজেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত যা পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দরপত্রের শর্ত মানা হয়নি।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinmail

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

shared on wplocker.com