কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ উত্তর জনপদের শষ্য ভান্ডার জেলা নওগাঁর আত্রাইয়ে এখন ঘন কুয়াশার মাঝে প্রতিটি মাঠ জুড়ে সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত ফসলের মাঠ। শীতের শিশির ভেজা সকালের কুয়াশার চাদরে ঘেরা বিস্তীন প্রতিটি মাঠ যেন হলুদ বণে ঘেরা এক স্বপ্নীল পৃথিবী। সরিষার সবুজ গাছের হলুদ ফুলে শীতের সোনাঝরা রোদে ঝিকিমিকি করছে। এ যেন এক অপরুপ সৌন্দয প্রাণ ফিরে পেয়েছে প্রকৃতি।

যেদিকে তাকাও শুধু সরিষা ফুলের হলুদ রঙের চোখ-ধাঁ-ধাঁধালো বণিল সমারোহ। মৌমাছির ঘুণগুণ শব্দে সরিষা ফুলের রেণু থেকে মধু সংগ্রহ আর প্রজাপতির এক ফুল থেকে আরেক ফুলে পদাপন ্ অপরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যিই যেন মনো মুগ্ধকর একে মহুত। ভোরের বিন্দু বিন্দু শিশির আর সকালের মিষ্টি রোদে ছুঁয়ে যায় সেই ফুগৈুলোকে ভারের বিন্দ বিন্দু শিশির আর সকালের মিষ্টি রেদ ছুঁয়ে যায় সেই ফুল গুলোকে। ভালো ফলনের আশায় উপজেলার কৃষকের রাতদিনপরিশ্রম করে যাচ্ছে। কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি বিভাগের কমকর্তারাও। চলতি রবিশষ্য মৌসুমে কোন প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ হানা না দেওয়ায় এবং সরিষা চাষের পরিবেশ অনুকুলে থাকায় সরিষার পাশাপাশি আলু,গম ও ভোট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এবার। গ্রামীণ জনপদের কৃষকরা এই সরিষা যথা সময়ে ঘরে তুলতে পারলে এবং বিক্রয় মূল্য ভালো পেলে ইরি-বোরো ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে বলে উপজেলা কৃষি সম্প্রস্রণ অধিদপ্তরের কমকর্তারা মনে করছেন। জানা গেছে,চলতি মৌসুমে উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ছয় হাজার সাত শত পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এখনও সরিষা ক্ষেতে পোকা- মাকড়ের আনাগোনা দেখা না দিলেও মাঠ পযায়ে সরিষা চাষিদেরকে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে যথাযথ পরামশ ও প্রত্যক্ষ কারিগরি সহযোগিতা করার কারণে সরিষা ক্ষেত অনেকটা রোগ-বালাই মুক্ত হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। সরকারি পযায় থেকে কৃষকদের মাঝে মান সম্পূণ বিনা মূল্যে সরিষার বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ বিনা মূল্যে বিতরণ করায় কৃষকেদের উৎসাহ বেড়েছে। উপজেলা শাহাগোলা,ভোঁপাড়া,কালিকাপুর , মনিয়ারী ও আহসানগঞ্জ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি সরিষার চাষ হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। উপজেলার আহসানগঞ্জ ঘোষ পাড়া গ্রামের মোঃ জামসেদ আলী জানান,আমি এ বছর ছয় বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। কৃষি অফিস থেকে কিছু বীজ পেলেও আমি নিজে বাকিটা কিনে জমিতে রোপন করেছি।সরিষা গাছে প্রচুর পরিমানে ফুল ধরায় মনে হচ্ছে এবার সরিষার আশানুরুপ ফলন পাবো। একই গ্রামের সরিষা চাষি নাদিম হোসেন জানান, আমি চলতি মৌসুমে প্রায় দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। কোন দূযোগ ও রোগ বালাই না থাকায় এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন পাব বল আমি আশা করছি। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার তাপশ কুমার রায় জানান, এবারে আত্রাই উপজেলায় আটটি ইউনিয়নে বিগত বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি পরিমান সরিষার চাষ হয়েছে। যথা সময়ে জমি চাষ যোগ্য হওয়ায় এলাকার কৃষকরা সুযোগ বুঝেসরিষার চাষ করেছে।কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে যথাযথ পরামশ ও পরিচযার বিষয়েদিক নিদেশনা দেওয়া হয়েছে।তিনি আরো বলেন, এবার প্রাকৃতিব দূযোগে কোন প্রকার ক্ষতি না হলে এ উপজেলায় সরিষার আবাদের বাম্পার ফলনের সম্ভানা রয়েছে। শুধু তাই নয় সরিষিা চাষের জমিগুলো উব্বরতা বেশি থাকায় কৃষককের ইরি-বোরো চাষেও এর সুফল পাবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে