jakir_naik

বিডি নীয়ালা নিউজ(২২জানুয়ারি১৬)-ইসলামিক প্রতিবেদনঃ  কোরআন হাদিসে কি তাবলীগ করার কথা বলা হয়েছে? পিস টিভি বাংলার নিয়মিত প্রশ্নোত্তর পর্বে ডা. জাকির নায়েককে একজন দর্শক এই প্রশ্নটি করেন।

উত্তরে ডা. জাকির নায়েক বলেন, শরীয়তে ও কোরআন হাদিসে যা করার কথা বলা হয়েছে তা করতে হবে। যেমন নামাজ, যাকাত, ইত্যাদি। আর যা হারাম বলা হয়েছে তা থেকে বিরত থাকতে হবে। এর বাইরে কিছু করা জায়েজ নয়। তবে যা বলা হয়নি এগুলো স্থান কালপাত্র ভেদে কখনো কখনো উত্তম মুস্তাহাব হয়ে থাকে। করলে সওয়াব আছে না করলে সওয়াব নেই। তবে তাবলীগ করার কথা বলা হয়েছে কিনা তা আমাদের কোরআনেই রয়েছে। কোরআনের সূরা নাহালের ১২৫ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে, তোমারা মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করো হেকমতের সঙ্গে।’

এখানে হেকমত মানে হল, কৌশলের সঙ্গে। তার মানে এ নয় নরম ভাষায়। সময়কালে হেকমত কখনো নরম ভাষায় হবে কখনো কঠিন ভাষায় হবে। তবে সবসময় নরম ভাষায় হবে তা ঠিক নয়। যেমন কোরআনের অন্য আয়াতে হযরত ইব্রাহিম আ. থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। হযরত ইব্রাহিম আ. উপাসনার সমস্ত মূর্তি ভেঙ্গে ফেলেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মুশরিককে মুশরিক বলতেই হবে। হোক সে আপনার বাবা। এটাই হল হিকমাহ। এটা হল ধর্মপ্রচার সম্পর্কে কোরআন হাদিসের গুরুত্বপূর্ণ এক আয়াত। এমনিভাবে সূরা আল ইমরানের ৬৪ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে, হে আহলে কিতাবগণ! একটি বিষয়ের দিকে আস যা আমাদের মধ্যে আর তোমাদের মধ্যে এক।’ সাদৃশ্যপূর্ণ বিষয়গুলো কি? এক নাম্বার হল, ‘আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারও ইবাদত করবো না।’

আমি মনে করি এ আয়াতটি হচ্ছে দাওয়াতের মাস্টার কি (মূলবাণী)। কোনো অমুসলিমের সঙ্গে কথা বললে, সর্বপ্রথম এটা বলতে হবে, তোমরা অন্তত একটি বিষয়ে এক হও যে, আমরা আলøাহ ছাড়া কারও ইবাদত করবো না। তাহলে বোঝা গেল ধর্মপ্রচারের সর্বপ্রথম গুরুত্বপূর্ণ গাইড লাইন হচ্ছে, তাওহিদ। এভাবে কোরআন হাদিসে ধর্মপ্রচার সম্পর্কে কিছু গাইড লাইন দেওয়া আছে।

একইভাবে নবী সা.ও ধর্মপ্রচার সম্পর্কে বলেছেন। হাদিসটি সহীহ বোখারিতে রয়েছে। তিনি বলেন, আমার নিকট হতে একটি বাক্য হলেও পৌঁছিয়ে দাও। এখানে বলা হয়েছে, যে একটি বাক্য জানে তাও যেন সে পৌঁছিয়ে দেয়। এভাবেই কোরআন হাদিসে দাওয়াতের কথা বলা হয়েছে।

 

সূত্র : পিসটিভি, ইউটিউিব থেকে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে