বিডি নীয়ালা নিউজ জনতার স্বার্থে জেগে ওঠা
বিডি নীয়ালা নিউজ(৯জানুয়ারি১৬)- অনলাইন প্রতিবেদনঃ মাত্র দুইদিনের মাথায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে গুড়িয়ে দেওয়া হলো মাও সে তুংয়ের স্বর্ণ মূর্তি।
চীনের হেনান প্রদেশে নির্মীয়মাণ মাওয়ের মূর্তি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র পিপলস ডেইলি।
হেনানের কৃষিজমিতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক চেয়ারম্যানের ভাস্কর্য নির্মাণ করেছিলেন। ১২০ ফুট উঁচু ভাস্কর্যটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিলো ৪ লাখ ৬৫ হাজার ডলার।
দুদিন আগে ভাস্কর্যটির নির্মাণকাজ শেষ হলে বিশ্বজুড়ে সংবাদ মাধ্যমে খবরটি প্রকাশ পায়। কমিউনিস্ট পার্টির নেতা হিসেবে যিনি বুর্জোয়া পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, পুঁজিপতিদের অর্থে তারই ভাস্কর্য নির্মাণের ঘটনাকে অনেকে ভিন্নমাত্রায় দেখতে চান।
আবার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর হেনান প্রদেশে দুর্ভিক্ষে চার কোটি কৃষকের মৃত্যুর খবর প্রচলিত রয়েছে। সেই একই জায়গায় মাওয়ের ভাস্কর্য নির্মাণকে কেউ কেউ প্রহসন বলে আখ্যায়িত করেন।
শেষ পর্যন্ত চীনা কর্তৃপক্ষ বিতর্ক অবসানের দায়িত্ব নেয় এবং ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলে।
ভাস্কর্যটি যেখানে স্থাপন করা হয়েছিলো, সে গ্রামের এক কর্মকর্তা জানান, মাওয়ের ভাস্কর্যটি নিবন্ধিত ছিলো না। তাছাড়া এটি অনুমোদনও পায়নি। এ কারণেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট তংজু কাউন্টির ভূমি কর্মকর্তারাও ভাস্কর্য প্রত্যাহারের খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে ভাস্কর্যটি ঠিক কী কারণে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা তারা জানাতে পারেননি।
ভাস্কর্য অপসারণের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এতে ভাস্কর্যের দুই পা ভাঙা ও কালো কাপড়ে মাথা ঢেকে রাখতে দেখা যায়।
তবে ছবিটির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গ্রামের কৃষকরা জানান, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই দুই সময়ে ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়। সেখানে এখন শুধু ধ্বংসস্তুপের গাদা রয়েছে। তাদের ধারণা প্রাদেশিক প্রশাসনের নির্দেশেই ভাস্কর্যটি ভাঙা হয়েছে।
একজন কৃষক পিপলস ডেইলিকে জানান, তিনি প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসে ভাস্কর্য ভাঙার কারণ জানতে টেলিফোনে অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কোনো দিক থেকেই তিনি কোনো সাড়া পাননি।
মূর্তিটি তৈরি হয়েছিলো স্টিল এবং কংক্রিট দিয়ে। মূর্তির গায়ে ছিলো সোনালি রংয়ের প্রলেপ। জানা যায়, এই মূর্তি নির্মাণের খরচ জুগিয়েছিলেন চীনের কৃষক ও কয়েকজন শিল্পপতি।
১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৭৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত চীনের সর্বেসর্বা ছিলেন মাও সে তুং।
