কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: কিশোরগঞ্জে মাল্টা চাষে থেকে পিছিয়ে নেই কৃষকরা। বিশ্বে লেবু জাতীয় ফলের মধ্যে মাল্টাই প্রধান। মিঠা কমলা লেবুই মাল্টা নামে পরিচিত।

আমাদের দেশে পার্বত্য জেলা সমুহে মাল্টা চাষ হলেও এখন দেশের সব এলাকাতেই মাল্টার চাষ হচ্ছে। উন্নত জাতের মাল্টা চাষ করে অনেকেই এখন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাষিরাও পিছিয়ে নেই এ মাল্টার চাষ থেকে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এখন মাল্টার চাষ হচ্ছে।

বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর দলবাড়ী এলাকার চাষি মকছুদার রহমান্ সহ আরো দুইজন চাষি বানিজ্যিকভাবে ১০ বিঘা জমিতে মাল্টার চাষ করছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রফিক এর সাথে কথা হলে তিনি জানান যে,দেশে মাল্টা চাষের সাফল্যের খবর শুনে মেলাবর দলবাড়ী এলাকার মকছুদার ও আরো দুইজন চাষি বানিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করলে তাদেরকে উন্নতজাতের মাল্টার চারা সংগ্রহ করে দেয়া হয় এবং প্রযুক্তিগত সেবা দিয়ে ২০১৯ সালে ১০ বিঘা জমিতে মাল্টার চারা রোপন করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ২০২২ সালে প্রায় সাড়ে তিন টন মাল্টার ফলন পাওয়া যায়। এ বছর প্রায় ৪ শত গাছে ফল ধরেছে।

ফলন ৫ টনেরও বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩ লক্ষ টাকা হতে পারে বলে চাষি মকছুদার রহমান আশা করছেন। তিনি বলেন, কিছুটা শখের বশে মাল্টা চাষ শুরু করলেও তিনি এখন বানিজ্যিকভাবে চাষে মনোযোগি হয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লোকমান আলম এর সাথে সাক্ষাতে কথা হলে তিনি বলেন,মাল্টা একটি ভিটামিন ‘ সি ‘ সমৃদ্ধ ফল। এটি বিদেশি ফল হলেও এখন দেশের প্রায় সব এলাকাতে মাল্টার চাষ হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ উপজেলা মাল্টা চাষ থেকে পিছিয়ে নেই। এখানে এখন বানিজ্যিকভাবে মাল্টার চাষ শুরু হয়েছে। এ উপজেলায় প্রায় ৭ হে: জমিতে ৩৫ টি মাল্টা বাগান রয়েছে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নকেই মাল্টা চাষের আওতায় আনা হয়েছে। আশা করা যায় খুব দ্রæত এ উপজেলায় মাল্টার চাষ আর ও সম্প্রসারিত হবে যা এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য এলাকার চাহিদা পূরণে অবদান রাখবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে