Khaleda-Zia-15-450x536

বিডি নীয়ালা নিউজ(৫জানুয়ারি১৬)- অনলাইন প্রতিবেদনঃ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারকে অবৈধ দাবি করে অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে নতুন জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান। গণতন্ত্রের জন্য এক সঙ্গে কাজ করতে।’

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত জনসভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ আহ্বান জানান। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে বিএনপি এই জনসভার আয়োজন করে। দলটি এই দিনটি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করছে। আজকের জনসভায় খালেদা জিয়া ভবিষ্যতেও এই দিনটি পালনের ঘোষণা দেন।

দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় পর আজ উন্মুক্ত কোনো বড় সমাবেশে বক্তব্য দিলেন খালেদা জিয়া। গত ৫ জানুয়ারি সমাবেশ করতে না পেরে টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছিল বিএনপি। তিন মাসের সে আন্দোলন চলাকালে ব্যাপক জ্বালাও পোড়াওয়ের ঘটনা ঘটে। আজকের সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, জ্বালাও পোড়াও ভাঙচুর নয়, তাঁরা সত্যিকারের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চান। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আসুন সংলাপ, আলোচনা করে সমাধান বের করে আনি। কারও বিরুদ্ধে আমাদের কোনো রাগ-ক্ষোভ-দুঃখ নেই।’
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। প্রথম দুই দফার উপজেলা নির্বাচন ও পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে নির্বাচন একটু সুষ্ঠু হলে বিএনপি জয়ী হয়।

পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জয়ী করতে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা করেছে এমন অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে পৌরসভায় মেয়র নির্বাচন দিয়ে আওয়ামী লীগ নিজেদের জনপ্রিয়তা দেখাতে চায়। জনপ্রিয়তা দেখানোর জন্য নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়া উচিত। তখন বুঝবেন অবস্থাটা।’

খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে জঙ্গিদের সম্পর্ক আছে। এ জন্য তারা বিদেশিদের বারবার জঙ্গিবাদের ভয় দেখায়। তারা বলে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জঙ্গিবাদের উত্থান হবে। তাঁর অভিযোগ, জঙ্গিবাদ আওয়ামী লীগের তৈরি। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন জঙ্গিবাদের উত্থান হয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি রমনার বটমূলে বোমা হামলা, বাংলা ভাই, শায়খ আবদুর রহমানের উত্থানের কথা বলেন। খালেদা জিয়া দাবি করেন, কিছু মানুষকে ধরে নিয়ে র‍্যাবের সদর দপ্তরে কিছুদিন রাখা হয়। তাদের খেতে দেওয়া হয় না, দাঁড়ি কামাতে দেওয়া হয় না। তারপর একসময় সামনে এনে বলা হয়, ‘জঙ্গি ধরেছি’। গুলশানে বিদেশি নাগরিক হত্যার পেছনে জড়িতদের কেন ধরা হয়নি তা-ও জানতে চান বিএনপির চেয়ারপারসন।

খালেদা জিয়া বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশে কমানো হচ্ছে না। তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। তেল-গ্যাসের দাম কমানো উচিত।
শিক্ষকদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, সিভিল সার্ভিসে বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। সরকার দু-একটি ক্যাডারকে প্রাধান্য দিচ্ছে। ২৬টি ক্যাডারের মানুষ আন্দোলন করছেন।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে