কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা নীলফামারী জেলার ৬ উপজেলা৫৪ ইউনিয়ন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একটু সূর্যের মুখ দেখা গেলেও সন্ধা হওয়ার সাথে সাথেই বাড়ে প্রচন্ড শীত।
প্রচন্ড শীতে শ্রমজীবি মানুষেরা তাদের কাজ কর্মের অনেকটা ব্যঘাত ঘটছে ফলে তাদের জীবন জীবিকার মাঝে নেমে এসেছে চরম হতাশা। গরীব অসহায় ছিন্নমুল খেটে খাওয়া মানুষ এই প্রচন্ড শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে।
ফলে ছিন্নমুল মানুষের শীতবস্ত্রের অনেক প্রয়োজন হয়ে দাড়িয়েছে। সরকারি ভাবে যে, পরিমান শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। প্রচন্ড শীতে শুধু মানুষ নয় প্রাণী কুলের অবস্থা একেবারেই কাহিল হয়ে পড়েছে।
গো-খাদ্যের সংকটসহ দাম বাড়িয়ে গেছে। এই শীতে বয়স্ক থেকে শুরু করে শিশু বাচ্চাদের নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হচ্ছে যেমন শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ নানা ধরনের শীতজনিত রোগ। হাসপাতাল গুলোতে শিশু বাচ্চাদের নিউমোনিয়া ও বয়স্কদের শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হচ্ছে। প্রচন্ড শীতে সন্ধা হলেই হাট বাজার গুলোতে জনশূণ্য হয়ে পড়ছে।
শ্রমজীবি খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রেণির অনেক মানুষ জানিয়েছে প্রচন্ড শীতে কাজ করতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে আছি। প্রচন্ড শীত থেকে রেহাই পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে ছিন্নমুল মানুষেরা আগুন পোহাচ্ছে। এই প্রচন্ড শীতে ব্যবসা বাণিজ্যসহ সকল ধরনের কর্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এদিকে ঘন কুয়াশার ফলে সড়ক মহা-সড়ক গুলোতে ঘটছে দূর্ঘটনা। ফলে দুরপাল্লার যানবহন গন্তব্যে পৌঁছিতে অনেক দেরি হচ্ছে।