বিডি নীয়ালা নিউজ(২৬ই ফেব্রুয়ারী১৬)-বিনোদন ডেস্কঃ পাঁচ বছরের সাজা পাওয়ার আগে ব্লকবাস্টার ছবিপ্রতি কোটি কোটি রুপি সম্মানী নিতেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত।
অথচ জেলে গিয়ে প্রতি মাসে ব্যক্তিগত খরচের জন্য বরাদ্দ দুই হাজার রুপি থেকে ২০ রুপি আলাদা করে রাখতেন। কেনো?
‘জরুরি প্রয়োজনে’- বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের জানালেন সঞ্জয়। সঙ্গে যোগ করলেন, ‘টাকার সত্যিকারের মূল্য বুঝেছি জেলে গিয়ে।’ জেলজীবন তাকে নানাদিক দিয়েই বদলে দিয়েছে। ৫৬ বছর বয়সী এই অভিনেতা বললেন, ‘এখন আমি একজন প্রকৃত শায়ের।’
কাব্যচর্চায় সঞ্জয়কে জেলে অনুপ্রাণিত করেছেন তার দুই সঙ্গী কয়েদি সমীর ও জিসান। তিনি বলেছেন, ‘তারা কবি। তাদের কাজ আমার ভালো লেগেছে। তাদের সঙ্গে আমিও কবিতা লিখতে থাকি। জেলে বসে ৫০০ কবিতা লিখেছি আমি। এগুলো বই আকারে প্রকাশ করবো।’
সমীর ও জিসানের মতো সাজর ও গোটিয়া মামা জেলে সঞ্জয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে গিয়েছিলেন। তার চুলের নতুন স্টাইলের পেছনে আছেন আরেক কয়েদি মিশ্র জি। তার বাড়ি ধারাবিতে। তিনিই এই হেয়ারকাট সাজিয়েছেন। বলিউডের এই তারকা বলেন, ‘আমাকে তিনি সেরা হেয়ারস্টাইল দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তার কাজে আমি মুগ্ধ।’
ইয়েরওয়াড়া কারাগারে ১৬৬৫৬ নম্বর কয়েদি ছিলেন সঞ্জয়। রাতে অনিদ্রায় ভুগতেন তিনি। মুক্তির কয়েকদিন আগে মাত্র চার দিন খেয়েছেন। তার কথায়, ‘২৩ বছর পর আজ আমি মুক্ত। পরিবার ও বন্ধুদের কাছে ফিরে আসতে পেরে আমি খুশি। আরও বেশি খুশি হতাম যদি বাবা বেঁচে থাকতেন। আমৃত্যু আমার মুক্তি দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। বাবা আজ হতেন সুখী মানুষ।’
কথাগুলো বলার সময় সঞ্জয়ের গাল বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছিলো। ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বোমা বিস্ফোরণে ব্যবহৃত একটি অস্ত্র রাখার দায়ে কারাদন্ড দেওয়া হয় তাকে। ইয়েরওয়াড়া কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে তিনি বের হয়ে আসেন। এরপর নিজের জীবন নিয়ে নির্মাণাধীন একটি ছবির দৃশ্যের প্রয়োজনে মাটিতে চুমু দিয়ে ভারতের জাতীয় পতাকাকে স্যালুট করেন সঞ্জুবাবা। তারপর কাঁধে ভারি ব্যাগ আর হাতে কাগজপত্র নিয়ে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ।