ডেস্ক রিপোর্ট: একটি কোম্পানি গঠন করে যেসব দেশ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি সংগ্রহ করা হবে, সে-সব দেশেই ফেরত পাঠানো হবে ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি। রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের বর্জ্য চুক্তি অনুসারে রাশিয়া নিয়ে যাবে। তারাই সে দেশে নিয়ে এগুলো ধ্বংস করবে। তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ও ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় নীতির খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে।

এটি বাস্তবায়ন করবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। সব ধরনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এই নীতির আওতায় পড়বে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব ধরনের তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ও ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানির নিরাপদ ব্যবস্থাপনায় নীতিমালা প্রণয়ন করেছে সরকার। বর্জ্য ও ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় একটি কোম্পানি গঠন করার কথা বলা হয়েছে খসড়া নীতিমালায়। যেসব দেশ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি সংগ্রহ করা হবে, সে-সব দেশেই ফেরত পাঠানো হবে ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি। রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের বর্জ্য চুক্তি অনুসারে রাশিয়া নিয়ে যাবে। তারাই সে দেশে নিয়ে এগুলো ধ্বংস করবে।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সভায় ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইন-২০১৯’ এবং ‘বাংলাদেশ বাতিঘর আইন-২০১৯’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিভিন্ন প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানের গবেষণা কাজগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন, গবেষণায় পাওয়া ফলাফল বাণিজ্যিকীকরণসহ আমদানি করা প্রযুক্তি গ্রহণ, আত্মীকরণ ও অভিযোজনের জন্য প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে একটি প্রকৌশল কাউন্সিল গঠনের লক্ষ্যে এই আইনের প্রয়োজন রয়েছে।
বাংলাদেশ বাতিঘর আইন এতদিন ১৯২৭ সালের আইন দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছিল। বাংলাদেশের বন্দর কর্তৃপক্ষ এই বাতিঘর পরিচালনা করে থাকে। জাহাজ আগমন এবং প্রত্যাগমনের সুবিধার্থে বাতিঘর পরিচালিত হয়।
জাহাজ আগমন এবং প্রত্যাগমনের ক্ষেত্রে জাহাজ কর্তৃপক্ষকে বাতিঘর মাশুল পরিশোধ করতে হবে। মাশুল কত হবে, তা সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হবে। যে জাহাজ বাতিঘর মাশুল দেবে না, ওই জাহাজকে এই আইনের বলে আটক করা যাবে। তবে মাশুল পরিশোধ করলে জাহাজ ছেড়ে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভ্যাকসিন হিরো’ সম্মাননা, ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ অর্জন করায় মন্ত্রিপরিষদ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

P/B/A/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে