samad_master

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৯ই মে১৬) মারুফ সরকার (বিভাগীয় প্রতিনিধি, রাজশাহী):  সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চাঁদা না পেয়ে এক শিক্ষকে মারধর করেছে সন্ত্রাসীরা।

লাঞ্চিত শিক্ষক আব্দুস ছামাদ মাষ্টার (৫৯) পার্শ্ববর্তী শাহ্জাদপুর উপজেলার রুপবাটি গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে।

ঘটনাটি ১১ মে ঘটেছে।

ঘটনা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলাধীন ভায়াট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুস ছামাদ মাষ্টার প্রায় ৩২ বছর যাবৎ ভায়াট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যথেষ্ট সুনামের সাথে শিক্ষকতা করছেন। ইত্যেমধ্যে তার শিক্ষকতা জীবনেরও শেষ হতে চলেছে। আর ৫মাস পরেই তিনি অবসরে যাবেন।

২৫ এপ্রিল সন্ত্রাসীরা তার নিকট ২লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না দিলে তাকে চাকুরী করতে দেয়া হবেনা বলে হুমকী দেয়। লাঞ্চিত শিক্ষক হুমকীর তোয়াক্কা না করে স্বাভাবিক নিয়মেই স্কুলে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন। ঘটনার দিন বেলা সাড়ে বারটার সময় সন্ত্রাসীরা ধারালো ছোড়া, ডেগার, লোহার রড ও লাঠি সোটা দিয়ে ভায়াট স্কুলে আব্দুস ছামাদ মাষ্টারকে আতর্কিত হামলা চালিয়ে একটি সাদা মাইক্রো বাসে একই উপজেলার খালকুলা নামক অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে প্রায় ৪ঘন্টা তাকে আটকে রেখে বেধর মারপিট করে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তার পকেট থেকে সোনালী ব্যাংক, তাড়াশ শাখার, সঞ্চয়ী হিসাব নং ৩৪০১৮১৬৫ এর গঞ ৬৯৬৭৪৮৫ ও গঞ ৬৯৬৭৪৮৮ নং চেকের ২টি পাতায় স্বাক্ষর করে নিয়ে ফেলে রেখে যায়।

স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে তাকে নর্থবেঙ্গল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে ৩দিন চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৪ মে তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে বাশবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আলী আশরাফ (৪৮), মৃত দেরাজ মন্ডলের ছেলে গফুর মন্ডল (৫০), আজগড় আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (২২), জফের আলী (৫০), খালকুলা গ্রামের মৃত তালেব হোসেনের ছেলে আলী আজগর (৩৫)সহ আরও ৫/৭জন অপরিচিত লোককে আসামী করে সিরাজগঞ্জ কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিষয়ের প্রেক্ষিতে তাড়াশ থানা অফিসার ইনচার্জ এটিএম আমিনুল ইমলাম জানান, শিক্ষক লাঞ্চিতের ঘটনাটি সত্য। তিনি কোর্টে মামলা করেছেন। থানায় নথি আসলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে