ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেছেন, ৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। তারা যেভাবে নির্বাচন করতে চায়, যেদিন নির্বাচন করতে চায়, তারা যেদিন তফসিল ঘোষণা করতে চায়। সরকারের দায়িত্ব তাদের সেভাবে সহায়তা করা। সরকার তাদের সহায়তা করবে।

আজ বুধবার নির্বাচন কমিশন ভবনে ইসির সঙ্গে আলোচনার পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এইচ টি ইমাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। বঙ্গবন্ধুকন্যা স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে এসেছেন। আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি নির্বাচন পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

তিনি আরো বলেন, আমরা দেখেছি সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছে। সবার সঙ্গেই সোহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হলেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন কমিশনকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে, হুমকি দিয়েছে।

নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কোনো মতামত নেই। নির্বাচন কমিশন যদি সেনা মোতায়েন করতে চায়, তাহলে সরকার সহায়তা করবে।

আগের সংসদ নির্বাচনগুলোতে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে সেভাবেই সেনা মোতায়েন করতে পারে। এটা তাদের আইনেই আছে।

ইসির সঙ্গে বিভিন্ন দলের বৈঠক তুলে ধরে তিনি বলেন, একমাত্র ব্যতিক্রম ঘটিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, যাদের মধ্য অনিবন্ধিত দলও ছিল। তাদের কেউ কেউ ইসির সঙ্গে অমার্জিত আচরণ করেছেন, আঙুল তুলে হুমকি দিয়েছেন। বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচন কমিশনের প্রতি এই ধরনের আচরণ গ্রহণ করবে না, এর জবাব ভোটের মাধ্যমে দেবে।

ইসির সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কয়েক নেতার আচরণের নিন্দাও জানান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচ টি ইমাম।

এর আগে বুধবার নির্বাচন ভবনে গিয়ে সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের অবস্থান জানায় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। ১৬ সদস্যের এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচ টি ইমাম।

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রাশিদুল আলম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন, রিয়াজুল কবীর কাওছার, গোলাম রাব্বানী চিনু, মারুফা আক্তার পপি, কেন্দ্রীয় নেতা তানভীর ইমাম, ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী, এনামুল হক চৌধুরী, সেলিম মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমান বাবলা।

K/K/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে