মারুফ সরকার ,বিশেষ প্রতিনিধি :সাংবাদিক আতাউস সামাদ ভিন্ন উচ্চতার মানুষ ছিলেন বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, কখনো কলমে-কখনো কন্ঠে লড়ে গেছেন দেশ ও মানুষের জন্য। প্রশ্ন জাগে আমরা কি মনে রেখেছি তাকে।

বৃহস্পতিবার শাহাজানপুরস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রখ্যাত সাংবাদিক আতাউস সামাদের ৭ম ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় গণমুক্তি আন্দোলন আপয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সাংবাদিক আতাউস সামাদ স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেমন সোচ্চার ছিলেন তেমনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য কখনও আপোস করতেন না। সাংবাদিকতাকে তিনি কখনো নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেননি। বরং আজীবন গণতন্ত্রের জন্য কথা বলে গেছেন। লিখেছেন গণতন্ত্রের জন্য। কলম দিয়ে অর্থের পাহাড় না রেখে গেলেও রেখে গেছেন নিজের প্রতি সবার ভালোবাসা আর সম্মান।

তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কারণে তাঁকে জেলও খাটতে হয়েছে। আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় আতাউস সামাদের খুব বেশি প্রয়োজন ছিল। তিনি সব সময় দেশ ও মানুষের কথা ভাবতেন। এজন্য তাঁর সাংবাদিকতা, প্রতিবেদন তৈরি ও কাজে দেশপ্রেম ফুটে উঠত। সব সময় সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তাছাড়া সাংবাদিকতা মানেই প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু তিনি নিজেকে কখনও প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আটকে রাখতে চাননি। সব কিছুর পরেও সঠিক কাজটি করার প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন তিনি।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আতাউস সামাদের মত সাংবাদিক খুব দরকার ছিল। এমন একটা সময়ে আমরা আছি, যে সময় কথা বলা যাবে না। কথা বলতে না পারলে গণতন্ত্র থাকে না। আর গণতন্ত্র না থাকলে দুর্নীতির মাত্রা বেড়ে যায়। যা চলমান অভিযানে প্রমানিত। স্বাধীন-নির্ভীক সাংবাদিকরা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পথ দেখাতে পারেন।

জাতীয় গণমুক্তি আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, সংগঠনের যুগ্ম সমন্বয়কারী মাওলানা আবু জাফর রেদোয়ানী, সমন্বয় কমিটির সদস্য আবদুল কাইয়ূম মাহমুদ, আফরোজা বেগম, ইমরুল হাসান, আবদুল্লাহ আল কাউছারী প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে