আলুচাষ করে বিপাকে পড়েছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাষিরা। ওই উপজেলায় চলতি বছর ৯০ ভাগ জমিতে আলুচাষ করা হয়েছে। এতে মিলছে না ক্রেতা। চার টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে না আলু।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলায় ছয় হাজার হেক্টর জমিতে আলুচাষ করা হয়েছে। এবারো উপজেলায় বার্মা, ক্রারেজ, দেশি বিলাতী, ঝাউ বিলাতী, কাটিলাল জাতের আলুসহ বিভিন্ন জাতের আলুচাষ করা হয়েছে। তবে দাম পাচ্ছেন না দেশের বাজারে আগাম আলুর জন্য বিখ্যাত কিশোরগঞ্জের চাষিরা।

আশরাফুল নামের এক চাষি বলেন, গতবছর এই সময় মাঠেই আলুর দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। তাই এবারো উপজেলার ৯০ ভাগ জমিতে আলুচাষ করা হয়েছে। তবে আলুর দাম নেই। পাঁচ সের আলু ২০ টাকাতেও কিনতে চাচ্ছেন না খরিদ্দাররা।

বড়ভিটা ইউনিয়নের জামিল নামের আরেক আলুচাষি বলেন, বিভিন্ন জেলার আলু একসঙ্গে বাজারে আসায় চাহিদা কিছুটা কম। এবার বাইরে থেকে পাইকাররা আসেননি। আলুগুলো যদি বাইরে বিক্রি করা সম্ভব হতো তাহলে ভালো দাম পাওয়া যেত।

উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, গতবছরের চেয়ে এবার বেশি আলু চাষ করা হয়েছে। স্থানীয় যে হিমাগারগুলো রয়েছে সেগুলোতে এখনো পুরোনো আলু রয়েছে। যে কারণে স্থানীয় পাইকারা আলু কিনতে পারছেন না।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, গতবছরের তুলনায় এবার কিশোরগঞ্জে ব্যাপক আলুর ফলন হয়েছে। তবে দাম কম থাকায় কৃষকরা একটু চিন্তিত।

তিনি বলেন, বিভিন্ন কোম্পানি ও বাইরে আলু পাঠানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভালোভাবে আলু সংরক্ষণের যেকোনো পরামর্শের জন্য কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে রয়েছে।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে