আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গত দুই বছরে মেক্সিকোর জোয়ান পেড্রো ফ্রাংকো শরীরের ৩০০ কেজি ওজন কমিয়েছেন। আগে ৩৪ বছর বয়সী ফ্রাংকোর ওজন ছিল ৫৯৫ কেজি। এই ওজন কমাতে বেশ কয়েকবার তাকে ছুরি-কাঁচির নিচে বসতে হয়েছে।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিষয়টি এমন নয় যে তিনি কেবল ওজনই হারিয়েছেন, বিশ্বের সবচেয়ে মোটা পুরুষ হিসেবে যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছেন, তাও খুইয়েছেন। কাজেই এ খেতাব এখন আর তার নেই।

বছর দুয়েক আগে জ্যালিসকোর গুয়াডালজারার নিজের বাড়ি থেকে অস্ত্রোপচারের জন্য বের হন তিনি। একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে প্রথম তিনি অস্ত্রোপচার করেন। গড়ে প্রতি বছরে তার ৯ কিলোগ্রাম করে মেদ জমেছিল জোয়ানের শরীরে। কিন্তু তার অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো ছিল না যে তিনি এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে সরে আসবেন।

জোয়ান বলেন, ছয় বছর বয়সে আমার ওজন ছিল ৬০ কিলোগ্রাম। কিন্তু বিষয়টি এমন নয় যে আমি নিজের প্রতি যত্ন নিইনি। কিন্তু এটি আসলে একটি রোগ। যেটি নিয়েই আমি পৃথিবীতে এসেছি।

১৭ বছর বয়সে তিনি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন। যাতে তার ওজন আরও বেড়ে যায়।

এর মধ্যেই এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ এসে যায় তার কাছে। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে মোট পুরুষ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে যান। এই স্বীকৃতিই তাকে রোগ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার উপায় করে দেয়। দাতব্য প্রতিষ্ঠান থেকে সাহায্য পেয়ে যান তিনি।

জোয়ান এখন খাট থেকে নেমে হাঁটতে পারেন। গোছল করেন, পোশাকও পরতে পারেন। এখনও ১৩৮ কেজি মেদ ঝরাতে চান একসময়ের বিশ্বের সবচেয়ে মোট পুরুষ। জোয়ান বলেন, প্রথম আমি ছয় থেকে ১০ কদম হাঁটতে পারতাম। এর পরেই আমাকে বসে পড়তে হতো। কিন্তু এখন আমি ১০০ কদম হাঁটতে পারি। এটি একটি বড় সাফল্য।

J/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে