ডেস্ক রিপোর্ট : কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নে একটি মেগা প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটিসহ ৮ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৯৪৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ২২ হাজার ৬৬৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা এবং ভারতীয় এলওসির ঋণ থেকে ২৮০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

এ সময় পরিকল্পনা সচিব মো নুরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, আইএমইডি সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য জাকির হোসেন আকন্দ, শামীমা নার্গিস, আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান জানান, কারিগরি শিক্ষা সঠিকভাবে দিতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ শিক্ষকের অভাব রয়েছে। প্রয়োজন হলে প্রশিক্ষণের জন্য শিক্ষকদের বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিল্ডিং তৈরির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় লোকবল, যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও চেয়ার-টেবিল সবকিছুই প্রস্তুত রাখার নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে বলেছেন, কোনো কিছুর অভাবে যেন কারিগরি শিক্ষা বাধাগ্রস্ত না হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, শিল্পপার্কে শিল্প বর্জ্য শোধনাগার স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অঞ্চল শিল্পপার্কসহ যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণের সময় জলাধার তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা নতুন কোনো সড়ক নির্মাণ করছি না। পুরনো সড়কগুলো সংস্কার, সম্প্রসারণ এবং শক্তিশালী করা হচ্ছে।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৫২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এর আওতায় প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে- ৯৮৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্রয়, একাডেমিক-কাম-ওয়ার্কসপ ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, শিক্ষক ডরমিটরি, ছাত্রী নিবাস, বাউন্ডারি ওয়াল, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, গভীর নলকূপ, ৫০০ কেভিএ সাব-স্টেশন, শহীদ মিনার, মুক্তিযোদ্ধা মনুমেন্ট এবং পানি সংরক্ষণাগার ইত্যাদি করা হবে।

অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- বিসিক শিল্প পার্ক, সিরাজগঞ্জ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৯১ কোটি ১১ লাখ টাকা। এ ছাড়া এসআরডিআইয়ের ভবন নির্মাণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পে ব্যয় ১৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন, জামালপুর প্রকল্পের ব্যয় ২৩৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা। কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর এলাকার নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ৩৯৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বেতগ্রাম-তালা-পাইকগাছা-কয়রা সড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ, ব্যয় ৩৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগ সড়ক ও লক্ষ্মীপুর চরআলেকজান্ডার-সোনাপুর-মাইজদী সড়ক প্রশস্তকরণ, ব্যয় ৩৬৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

J/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে