২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের পর রোববার (৩১ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

তালিকা অনুযায়ী, এবার ১৪ দিন সাধারণ ছুটি এবং নির্বাহী আদেশে ৮ দিন ছুটি থাকবে। এরমধ্যে ৩ দিন করে মোট ৬ দিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির (শুক্র-শনি) মধ্যে।

সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে- ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ২৯ এপ্রিল জুমাতুল বিদা, মে দিবস, ৩ মে ঈদুল ফিতর, ১৫ মে বুদ্ধপূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা), ১০ জুলাই ঈদুল আজহা, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ১৮ আগস্ট জন্মাষ্টমী, ৫ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ৯ অক্টোবর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)।

অন্যদিকে, আগামী বছরের ১৯ মার্চ শব-ই-বরাত, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ২৯ এপ্রিল শবে কদর, ঈদুল ফিতরের আগে ও পরের দুই দিন ২ এবং ৪ মে, ঈদুল আজহার আগে ও পরের ২ দিন ৯ ও ১১ জুলাই এবং ৯ আগস্ট আশুরার দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে।

ঐচ্ছিক ছুটি

ঐচ্ছিক ছুটির মুসলিম পর্বের মধ্যে রয়েছে- ১ মার্চ শবে মেরাজ, ৫ মে ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিন, ১২ জুলাই ঈদুল আজহার তৃতীয় দিন, ২১ সেপ্টেম্বর আখেরি চাহার সোম্বা এবং ৭ নভেম্বর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম।

হিন্দু পর্বের ঐচ্ছিক ছুটির দিনগুলোর মধ্যে রয়েছে- ৫ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা, ১ মার্চ শিবরাত্রী ব্রত, ১৮ মার্চ দোলযাত্রা, ৩০ মার্চ হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়া, ৪ অক্টোবর দুর্গাপূজা (নবমী), ৯ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ২৪ অক্টোবর শ্যামাপূজা।

এছাড়া ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ২ মার্চ ভস্ম বুধবার, ১৪ এপ্রিল পূণ্য বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল পূণ্য শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল পূণ্য শনিবার, ১৭ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিস্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি।

ঐচ্ছিক ছুটির বৌদ্ধ পর্বের মধ্যে রয়েছে- ১৬ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তি, ১২ জুলাই আষাঢ়ি পূর্ণিমা, ৯ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা এবং ৯ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা (আশ্বিনী পূর্ণিমা)।

পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে রয়েছে- ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব।

ছুটির আদেশে বলা হয়েছে, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। 

এতে বলা হয়, সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।

আদেশে আরও বলা হয়, যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার থেকে অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ষোষণা করবে। 

dainikshiksha

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে