sosok

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৮ই এপ্রিল১৬- আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনঃ  বিশ্বের মোট সম্পদের অর্ধেকের মালিক মাত্র এক শতাংশ মানুষ।

ধনীদের এই বিপুল সম্পদের মালিকানার বিপরীতে বিশ্বের মোট দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের কাছে আছে মোট সম্পদের মাত্র এক শতাংশ। বৃটিশ উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন এইডের এক প্রতিবেদনে ধারাবাহিকভাবে বৈষম্য বাড়ার এই চিত্র উঠে এসেছে।

‘দ্য প্রাইস অব প্রিভিলেজ: এক্সট্রিম ওয়েল্থ, আনএকাউন্টেবল পাওয়ার এন্ড দ্য ফাইট ফর ইকুয়ালিট ইন দ্য টুয়েন্টি ফাস্ট সেঞ্চুরী’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাপী একযোগে প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্বের ৪৫টি দেশের তথ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদনটি তৈরী করা হয়েছে।

পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ২০০ ব্যক্তির সম্পদের মোট পরিমাণ সমগ্র আফ্রিকা ও ব্রাজিলের মোট সম্পদের পরিমাণের সমান এমন তথ্য জানিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমান বিশ্বে যেভাবে নৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধনী-গরিব, পুরুষ-নারী, দলিত-ব্রাহ্মন, শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ বৈষম্য বাড়ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ৬৪ ব্যক্তির মোট সম্পদের পরিমাণ সবচেয়ে দরিদ্রতম সাড়ে তিনশ’ কোটি মানুষের মোট সম্পদের সমান। প্রতিবেদনে অর্থ ও ক্ষমতার এ বিস্তর ফারাক নিয়েই সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে একশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, ‘বিশ্বের অধিকাংশ সম্পদের মালিক গুটিকয়েক মানুষ, অধিকাংশ ক্ষমতাও এ গুটিকয়েক মানুষের হাতে। এমন প্রেক্ষাপটে আমরা দারিদ্রতা ও বৈষম্য নিয়ে কথা বলতে পারি না। বিশ্বের প্রায় সব সরকারই এ বৈষম্যরোধে একমত হয়েছেন, কিন্তু সবাই ব্যর্থ হয়েছেন। অর্থের ক্ষমতার কারণে সমাজে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে।

 

তিনি বলেন, শুধু মুখের কথায় বা ব্যবসা দিয়ে কিংবা রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা এসব বৈষম্য দূর করা সম্ভব নয়। মূল সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এ বৈষম্য ঠেকাতে প্রয়োজন নারী ও পুরুষের জন্য আরো বেশি চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা, সমাজের উন্নয়নকল্পে বা গরীবদের উন্নয়নে যাতে ধনীরা তাদের সম্পদের একটা অংশ দেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।

তবে এই বিস্তর বৈষম্য নিরসনের ইঙ্গিতও মিলেছে ওই প্রতিবেদনে। একশন এইড হিসেব করে দেখিয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যদি পুরুষ ও নারীকে সমান কাজের সুযোগ দেয়া হয় এবং তাদের মজুরিও যদি সমান হয়, তাহলে নারীরা ৯ ট্রিলিয়ন ডলার বেশি আয় করতে পারে। সাব সাহারান আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার নারীরা পুরুষের তুলনায় ৮০ শতাংশ কম আয় করেন।

 

৩২ টি দেশের নারীরা (পৃথিবীর মোট নারীর অর্ধেক) ২০১০ সালে স্বাস্থ্যখাতে অন্তত ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের ভূমিকা রেখেছেন অথচ এর অর্ধেকের জন্যই তাদেরকে কোনো মজুরি দেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশের দিনাজপুরের গোরাহাটের কৃষক ও কৃষকনেত্রী সাজেদা বেগম কৃষিক্ষেত্রে বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের দেশের জিডিপি বেড়েছে। কিন্তু কৃষকের উপর তার প্রভাব পড়েছে খুব সামান্যই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে