নিজস্ব প্রতিবেদক: মানবাধিকার দিবস জাতিসংঘের নির্দেশনায় বিশ্বের সকল দেশে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর পালিত হয়।

এই বারেও পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো ১০ ই ডিসেম্বর ২০২২ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালনের প্রস্তুতি নিয়েছে দেশের মানবিক সংগঠনগুলো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ১০ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ সাল থেকে দিবসটি উদ্‌যাপন করা হয়। এছাড়াও, ‘সার্বজনীন মানব অধিকার সংক্রান্ত ঘোষণাকে’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ তারিখকে নির্ধারণ করা হয়। সার্বজনীন মানব অধিকার ঘোষণা ছিল ২য় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী নবরূপে সৃষ্ট জাতিসংঘের অন্যতম বৃহৎ অর্জন।

মানবাধিকার হল জাতি, লিঙ্গ, জাতীয়তা, গোষ্ঠী, ভাষা, ধর্ম বা অন্য কোন অবস্থা নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের অন্তর্নিহিত অধিকার। মানবাধিকারের মধ্যে রয়েছে জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার, দাসত্ব ও নির্যাতন থেকে মুক্তি, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, কাজ ও শিক্ষার অধিকার ইত্যাদি। বৈষম্য ছাড়াই প্রত্যেকেই এই অধিকারগুলো পাওয়ায় হলো মানবাধিকার

মানুষের প্রতি মানুষের কর্তব্য দায়িত্ব সর্বোপরি মানবতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনই হচ্ছে মানবাধিকার ঘোষণার মূল মন্ত্র। আমাদের দেশের সংবিধানেও মানবাধিকার সংরক্ষণের কথা থাকলেও মানুষ প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের। সংবিধানের ৭ ধারায় বলা হয়েছে, “প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ”। অন্যদিকে সংবিধানের দ্বিতীয় অধ্যায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে বলা হয়েছে, “সরকার যেই গঠন করুকনা কেন, জনগণের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার দায়িত্ব ওই সরকারের উপর বর্তাবে। জাতীয় জীবনে নারী পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে কৃষক শ্রমিককে শোষণ থেকে মুক্ত রাখার অধিকার এই মহান সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। কি্ন্তু দুঃখের বিষয় বিশ্বের অন্যান্য দেশেরে মতো আমাদের মহান সংবিধানেও মানবাধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও ব্যপকহারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে প্রতিনিয়ত। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। তবে আমরা এখোনো দেশ প্রেমি হয়ে উঠতে পারিনি। মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়ে আমরা বারবার বাধাগ্রস্থ্ হচ্ছি। সাংবিধানিকভাবে মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠায় আমরা এখোনো পুরোপুরি সক্ষমতা অর্জন করিনি।দেশের মানুষ এখন চরম হিংস্রতা, সহিংসতায়, বর্বরতায় নিমজ্জিত। বিবেক বর্জিত সকল কাজ আমরা করে চলেছি।আসুন আমরা একে অপরের প্রতি মানবিক হই বিপদে একে অপরকে সাহায‍্য করি আমরা যে মানবজাতি তা মানবতার দৃষ্টান্ত প্রত‍্যেকে নিজের মনে স্থান দিয়ে প্রমান করি সবার উপরে মানুষ সত‍্য তাহার উপরে নাই।

আমরা চাইলে প্রত‍্যেকে নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি পালটে সুন্দর একটি মানবিক বিশ্ব উপহার দিতে পারি
সবার মঙ্গল কামনা করি পৃথিবীর সকল মানুষ সুখি হোক কারন মানুষ মানুষের জন‍্য – এম ডি বাবুল
যুগ্ম মহাসচিব সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগ কারী সংস্থা ঢাকা সেন্ট্রাল সদস্য ঢাকা প্রেসক্লাব মানবাধিকার সংবাদ কর্মী

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে