আন্তর্জাতিক রিপোর্ট :বিহার পুলিশের কর্মকর্তাদের কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে ওই রাজ্যের মূষিক, মানে ইঁদুরদের এখন আর সুস্থ থাকার কথা নয়।এমনকি তাদের চলাফেরারও ক্ষমতা থাকার কথা নয়!গত এক বছরে তারা প্রায় ন’লাখ লিটার মদ খেয়ে নিশ্চয়ই এখন ‘তুরীয়’ আনন্দে রয়েছে।বিহারে গত বছর এপ্রিল মাস থেকে মদ নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরে সারা রাজ্যে তল্লাশি চালিয়ে বেআইনী মদের বোতল বাজেয়াপ্ত হওয়ার পরে সেগুলো বিভিন্ন থানার ‘মালখানা’য় রাখা হয়েছিল।পরিমাণ নেহাত কম নয় – ৫.১১ লাখ লিটার ভারতে তৈরি বিদেশী ব্রান্ডের মদ, প্রায় তিন লাখ লিটার দেশী মদ আর ১২ হাজার বিয়ারের বোতল।এখন সিনিয়র কর্মকর্তারা বাজেয়াপ্ত হওয়া সেই সব মদের বোতলের হিসাব চাইতেই থানার বড়বাবুরা জানিয়েছেন বোতলের ছিপি নষ্ট করে ভেতরের মদ খেয়ে নিয়েছে ইঁদুরের দল, আর কিছু বোতল ভেঙ্গে গেছে।কিন্তু বিভিন্ন থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের দেওয়া এই তথ্য অবিশ্বাস্য লেগেছে শীর্ষ র্মকর্তাদের।যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে সেই সন্দেহটা প্রকট করেননি তাঁরা, তবে বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই বিপুল পরিমাণ মদের বোতল ব্ল্যাক-মার্কেটে চলে গেছে, না-কি সত্যিই ইঁদুরে মদ খেয়ে নিয়েছে – তারই তদন্ত শুরু হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক এসকে সিংঘল সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, “পাটনার আইজি-কে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্ট দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”ইঁদুর দল মদ খেয়েছে কী-না, তা নিয়ে তদন্ত শুরুর দিনেই দুই পুলিশ কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন মদ খাওয়ার দায়ে।পাটনার সিনিয়র পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট মনু মহারাজ বলছেন, বৃহস্পতিবার একটি পুলিশ ব্যারাকে পরিদর্শন করতে গিয়ে তিনিই দুই পুলিশ সদস্যকে মদ্যপ অবস্থায় দেখতে পান।তাঁদের ধরতে গেলে মি. মহারাজের ওপরেই চড়াও হন ওই দু’জন। এঁদের একজন আবার বিহার পুলিশ কর্মী সংগঠনের নেতা।আদালত দু’জনকেই জেল হাজতে পাঠিয়ে দিয়েছে।আরও পড়ুন:

বি/বি/সি/এন

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে