জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন হৃদয়ে সৈয়দপুর এবার বিধবা তাহেরা বেগমের পাশে দাঁড়ালেন। তাকে মাথাগোঁজানোর ঠাঁই একটি টিনের ঘর তৈরি করে দিয়েছে ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাহেবপাড়া ফুলবাগান এলাকার বাসিন্দা মোছা. তাহেরা বেগম (৫০)। তাঁর স্বামী আট বছর পূর্বে মারা যান। রেখে যান স্ত্রী ও তিন প্রতিবন্ধী সন্তান (কর্মহীন) আবু তাহের, মো. আমান, মোছা. রুব্বান এবং বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া মেয়ে মোছা. কাজলকে। তাদের নিয়ে বিধবা তাহেরা বেগম বসবাস করেছিলেন দুইটি টিনের ভাঙ্গা ঘরে। অসহায় বিধবা তাহেরা বেগম অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করেন।

সারাদিন কর্ম করে যে সামান্য আয় রোজগার হয় তা দিয়ে পাঁচ  সদস্যের পরিবারটি কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছেন। এদিকে, দীর্ঘদিন মেরামত না করায় বসবাসের জন্য থাকা টিনের ভাঙ্গা ঘরগুলো বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এমন দুঃসময়ে যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরার মতো অবস্থা সেখানে নতুন করে ঘর নির্মাণ করাও তাঁর জন্য অসম্ভব। কিন্তু কিভাবে নতুন ঘর নিমার্ণ করবেন এই ভেবে কোন কুল কিনারা পাচ্ছিলেন না বিধবা তাহেরা বেগম।

এ অবস্থায় হৃদয়ে সৈয়দপুর স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠনের শরণাপন্ন হন তাহেরা। তাঁর বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে সংগঠনের আর্থিক সাহায্যে একটি টিনের ঘর তৈরি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন সংগঠনের সদস্যরা। রোববার ( ১৮ ফেব্রুয়ারী) তাহেরা বেগমকে একটি নতুন টিনের ঘর তৈরি করে দেন সংগঠনটি। এসময় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সোহেল রানা, উপদেষ্টা সমাজসেবক রবিউল আউয়াল রবি,বুলবুল সরকার,আজাদ মিয়া,উপজেলা সভাপতি মাসুদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রানা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন,সালপিয়া আক্তার,আতিকুল ইসলাম,রিয়াদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

হৃদয়ে সৈয়দপুর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সোহেল রানা বলেন, আমাদের সংগঠনটির শাখা রয়েছে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায়। এসব শাখার সদস্যদের নিয়ে গত ৬ বছর যাবৎ দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। আগামীতেও আমরা হতদরিদ্র মানুষদের স্বাবলম্বী করণে আমরা কাজ করে যাবো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে