জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার। এ জন্য তিনি সারাজীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু জীবদ্দশায় অল্প সময়ের কারণে পারেননি অনেক কিছু করতে।
‘একসময় এ দেশকে অসম্ভব দরিদ্র দেশ হিসেবে মনে করা হতো। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে।

দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ উন্নয়নযাত্রা কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।

১৪ অক্টোবর শনিবার বিকেলে মতলব উত্তর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত ছেংগারচর কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, চাঁদপুর- ২ আসন থেকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এম ইসফাক আহসান ( সি আই পি) এসব কথা বলেন ৷

তিনি বলেন,ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা। স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট জাতি গঠনই এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরবর্তী লক্ষ্য। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে।


আজকে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলে দেশের প্রতিটা এলাকায় উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আর তাই ভবিষ্যতেও শেখ হাসিনার সরকার দরকার। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।

এম ইসফাক আহসান বলেন, ২০ লক্ষ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক ও দায়িত্বশীল নীতির জন্য নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত।’ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে তো
নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়নি কেন ? ৷

তিনি বলেন, ড. ইউনুস অর্থনীতিবিদ হয়ে কিভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন সেটি বোধগম্য নয় ৷ ড. ইউনুস প্রসঙ্গ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বানানো একটি বিষয়। তারা সেটিকে সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। কেননা তিনি একজন অর্থনীতিবিদ। তাকে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দিলে সেটি যুক্তিযুক্ত ছিল। কিন্তু তিনি পেলেন শান্তিতে নোবেল। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার কি অবদান তা বোধগম্য নয়।

ইসফাক আহসান ( সি আই পি ) আরো বলেন,আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশ আবার অন্ধকার যুগে ফিরে যাবে। তবে জনগণ আর অন্ধকারে ফিরে যেতে চাইবে না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে মানুষ অন্ধকারে থাকে। বিএনপি-জামায়াত বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের চরিত্র এখনও পরিবর্তন হয়নি। তারা ষড়যন্ত্র এবং অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশ ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে চায় তাই বি এন পি জামাতের যে কোন ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ,যুবলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সজাগ থাকতে হবে ৷

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দুই ভাবে সম্মানিত করেছেন একটি হলো কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ- কমিটির সদস্য করে ৷ আরেকটি হলো ( সি আই পি) নির্বাচিত করে ৷
সম্মানিত করায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ৷
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম মাস্টারের সভাপতিত্বে ও উপজেল যুবলীগের প্রচার সম্পাদক রেফায়েত উল্লাহ দর্জির সঞ্চালনায় উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র লায়ন আলহাজ্ব মোঃ আরিফ উল্লাহ সরকার ৷

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তেজগাও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল্লা সিদ্দিকি কাজল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও গজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদ উল্লাহ প্রধান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাইয়ুম চৌধুরী,ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদাউস আলম সরকার,সাবেক ছাত্রনেতা এড.জসিম উদ্দিন ,উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম ফারুক,উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক শরীফুল হাসান,যুবলীগ নেতা আবুল হোসেন ফরাজী,ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম,সাবেক ছাত্রনেতা মিরাজ খালিদ প্রমুখ ৷
উন্নয়ন শান্তি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর আওয়ামী লীগ,যুবলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা- কর্মিরা ৷

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে