ডেস্ক রিপোর্টঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দুই সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে চোরাচালানির মাধ্যমে আসা ৯টি উট আটক করেছে বিজিবি।

বিজিবি জানায়, আজ শুক্রবার ভোররাতে শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ছয়টি উট বাংলাদেশে নিয়ে আসা হচ্ছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উটগুলো আটক করা হয়।

অপরদিকে, শিবগঞ্জ উপজেলার শিয়ালমারা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আসা তিনটি উট বাংলাদেশে প্রবেশের সময় শিয়ালমারা সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যরা আটক করেন। তবে এ সময় কোনো চোরাকারবারিকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।

সোনামসজিদ বিওপি বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার মো. আব্দুর রহমান ও শিয়ালমারা বিওপি বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মো. শাহ ফজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং শিবগঞ্জ কাস্টমস শুল্ক গুদামে জমা দেওয়া হয়েছে।

শিবগঞ্জ কাস্টমস শুল্ক গুদামের সিপাহী নজরুল ইসলাম জানান, বিজিবি ৯টি উট জমা দিয়েছে এবং আমরা কাস্টমসের  পক্ষ থেকে তা গ্রহণ করেছি। চাঁপাইনবাবগঞ্জস্থ ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রাশেদ আলী সোনামসজিদ সীমান্তে ৯টি ভারতীয় উট আটকের সত্যতা শিকার করেন।

সোনামসজিদ বিওপি বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার মো. আব্দুর রহমান জানান, দুই সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আসা উট আটকের মামলায় একটিতে আটজনের ও অপরটিতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে পলাতক দেখিয়ে শিবগঞ্জ থানায় আজ  শুক্রবার দুপুরে মামলা করা হয়। তিনি জানান, আসামিরা সীমান্ত মেইন পিলার নম্বর ১৮৮ ও সাব পিলার ৬ ও ৭ এস- এর মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া কেটে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে শুক্রবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা ওই এলাকায় গিয়ে ছয়টি ও শিয়ালমারা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা আরো তিনটি উট আটক করেন।

মামলার আসামিরা হলেন শিয়ালমারা এলাকার শাহ পরান, মো.  হারুন, মো. সইমুদ্দিন ও নুরুল ইসলাম বিহারী, দৌলতবাড়ি এলাকার মো. রুহুল, মো. শরিফ ও আশারু এবং ভোলাহাট উপজেলার আলালপুর এলাকার মো. আলমগীর হোসেনসহ আব্দুর রাজ্জাক, শাহনেওয়াজ, আনোয়ার কবির, শারু মিয়াসহ ১৭ জন।

 

 

 

K/K/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে