জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে মিজানুর রহমান বাবু নামে একজন ফটোস্টুডিও দোকান মালিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

পরিবার আত্মহত্যা বললেও স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক তদন্তে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত না হওয়ায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সোমবার (৮ মে) বিকাল ৫ টায় মর্গে পাঠিয়েছে।

ওই ব্যবসায়ী একইদিন সকাল ১০ টায় শহরের কয়ানিজপাড়া মহল্লায় নিজ বাড়িতে মারা যায়। পরিবার লোকজন জানায় তিনি ঘরের জানালায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়েছিলেন। পরে টের পেয়ে দ্রুত সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরিবারের দাবী নিহত বাবু দীর্ঘ দিন থেকে অসুস্থ। ইতোপূর্বে দুইবার স্ট্রোক করেছিল। চিকিৎসায় অনেক খরচ হওয়ায় আর্থিক সংকটে পড়ে কিছুদিন থেকে হতাশাগ্রস্ত ছিল।

সেকারণে সম্ভাব্য চিকিৎসা ব্যায়ে আরও অর্থ সম্পদ নষ্ট থেকে পরিবারকে রক্ষায় অর্থাৎ সন্তানদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আত্মহত্যা করেছে।

পক্ষান্তরে বিভিন্ন সূত্রের মতে আত্মহত্যা করলেও তা স্ত্রীর কারণে করেছে। স্ত্রী সাবিনা বেগম প্রায়ই বাবুকে আর্থিক দৈন্যদশার জন্য দায়ী করে অশ্লীল গালিগালাজ ও অপমান জনক আচরণ করতো।

সোমবার সকালেও ঝগড়া করায় বাবু উত্তেজিত হয়ে হার্ট এ্যাটাকে মারা গেছে। অর্থাৎ মানসিক চাপ দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছ।

পরিবারের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। তবে কেউ কেউ স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছে। তাছাড়া প্রথম দিকে পরিবারের লোকজন অসুস্থতা জনিত মৃত্যু বলে প্রচার চালিয়েছিল। এতে মৃত্যুর কারন নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত লাশ নিয়ে পরিবার ও প্রশাসনের মধ্যে টানাপোড়ন চলে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ সার্কেল) সারোয়ার আলম জানান, সুরতহাল তদন্তে আত্মহত্যার বা স্ট্রোক করে মারা যাওয়ার কোন লক্ষণ পায়নি চিকিৎসক। তাই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ময়না তদন্তের জন্য লাশ নীলফামারী জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, নিহত বাবু কয়ানিজপাড়ার মৃত রোস্তম আলীর ছেলে এবং সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের সামনের মেনন ফটোস্টুডিওয়ের মালিক। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার মৃত্যুতে এলাকায় ও বন্ধু মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ৷

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে