জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে কামারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের (ভারপ্রাপ্ত) বিরুদ্ধে সহকারি শিক্ষক আমিনুর রহমানের করা অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবী করেছেন আনোয়ার হোসেন। রবিবার (২৩ জানুয়ারী) দুপুরে বিদ্যালয়ের অফিসে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এ দাবী করেন।

আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত একটি মহল। বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক আমিনুর রহমান একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন। এসব কাজে তাকে সহযোগিতা করছেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন। অথচ এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা চলছে। এ মামলায় তিনি জেল হাজতও খেটেছেন। সম্প্রতি তিনি তাঁর দল বল নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন স্বপদে বহাল থাকার জন্য। এ সময় বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও স্থানীয়দের বাধার মুখে ফিরে যান। কিন্তু এখনও তিনি চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। অভিযুক্ত এ প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে ফেরাতে স্থানীয় কয়জন ব্যক্তি টাকার লোভে জোর চেস্টা চালাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, আমিনুর রহমান তাঁর অদৃশ্য খুঁটির জোরে বিদ্যালয়ের নিয়ম-নীতিকে কোন তোয়াক্কা না করে একাধিক অপরাধ সংঘঠিত করেছেন। তিনি বিনাদোষে ছাত্রকে সন্ত্রাসী কায়দায় পিটিয়ে আহত করেন। স্থানীয় এক নারীর শ্লীলতাহানীর চেষ্টাসহ নানা অপকর্ম করেছেন। এসব কারনে এ শিক্ষককে লিখিতভাবে সতর্ক করা হয়। তিনি অভিযোগ স্বীকার ও ক্ষমা প্রার্থনা করে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত দেন। তারপরও তিনি এসব কর্মকান্ড অব্যাহত রাখলে সর্বশেষ ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে।

বিদ্যালয়ের অভিভাবক আতাউর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করতে শিক্ষক আমিনুর রহমান উঠে পড়ে লেগেছে। আমরা স্থানীয় অভিভাবকরা কোনভাবে এটা করতে দেব না। তার বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

এব্যাপারে সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেহানা ইয়াছমিন জানান, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে আদলতে মামলা চলছে। তাঁর স্বপদে বহাল থাকার কোন সুযোগ নাই। শরীর চর্চা শিক্ষক আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত কোন অভিযোগ পায়নি। তবে দু’একজনের মুখে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে