ডেস্ক রিপোর্টঃ মৌলভীবাজার জেলার সদর এলাকার বরহাট এবং শহর থেকে কিছুটা দূরে ফতেহপুর গ্রামে দুটো বাড়িকে এখন ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোঃ: শাহ জালাল বিবিসি বাংলাকে টেলিফোনে বলেন, দুটো বাড়ির মালিক একই ব্যক্তি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যের লন্ডন প্রবাসী। দুটো বাড়িতে যারা অবস্থান করছে তাদের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তারা ধারনা করছেন।
দুটো বাড়ি মিলিয়ে কতজন বাসিন্দা রয়েছেন তা নিশ্চিত না হলেও, দশ-এগারোজন বলে মনে করা হচ্ছে।
‘দুইমাস আগে বাড়িটিতে ওঠে ভাড়াটিয়ারা’
মৌলভীবাজার মূল শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে খলিলপুর ইউনিয়নে ফতেহপুর গ্রামের একতলা টিনের চালা দেয়া বাড়িটি চারদিকে ইটের দেয়াল দিয়ে ঘেরা। খলিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অরবিন্দ পোদ্দার বাচ্চু জানান, এই বাড়িটিতে দুইমাস ধরে ভাড়াটিয়ারা এসেছে।
প্রতিবেশীর বর্ণনায় কেমন বাসিন্দারা?
ফতেহপুর গ্রামের ওই বাড়িটির দুটো বাড়ি পরেই রাজু আহমেদ চৌধুরীর বাসা। ভোরবেলা তাদের ঘুম ভাঙে গ্রেনেড আর গুলির শব্দে।
তিনিও জানান, দুমাস ধরে নতুন ভাড়াটিয়ারা বাড়িটিতে দুজন পুরুষ, একজন মহিলা এবং একটি শিশুও তিনি দেখেছেন। সব মিলিয়ে ছয়-সাতজন থাকতে পারে বলে ধারনা করছেন প্রতিবেশী মি. চৌধুরী। তবে তাদের খুব একটা বাড়ি থেকে বের হতে দেখেননি।
ওই বাড়ির খুব কাছাকাছি কোন বাড়ি নেই। বাড়িটির তত্ত্বাবধানকারী ব্যক্তি তাদের জানিয়েছেন, কোনও কিছু প্রয়োজন হলে পুরুষ সদস্য মাঝে-মধ্যে বের হয়ে বাজার করে আনতেন।
অন্যদিকে মৌলভীবাজার শহরে বরহাট নামের এলাকায় ঘিরে রাখা বাড়িটি একটি নির্মাণাধীন ভবন। তৃতীয় তলার কাজ চলছে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান জানান, বাড়ির মালিক বহুবছর ধরে পরিবার নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছেন। সর্বশেষ তিনি জেলায় কবে এসেছিলেন সে সম্পর্কে কোন ধারণা নেই তাদের।
অভিযানের প্রস্তুতি:
পুলিশ বলছে, অপারেশনাল টিম সোয়াত, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর অভিযান চালানো হবে।
বিভিন্ন জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে এই বাড়িটিকে ঘিরে অভিযানের প্রস্তুতি নেয়া হয় বলে জানানা স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা।
সিলেটের আতিয়া মহলে দীর্ঘ সময় ধরে চলা জঙ্গি বিরোধী অভিযান সমাপ্তি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৌলভীবাজারে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে পুলিশের এই অবস্থান।
বি/বি/সি/এন