আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইরাক অঞ্চলের সুরক্ষার খাতিরেই সিরিয়ার আইএস ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দর আল আবাদির দফতর জানিয়েছেন, নিজদের সুরক্ষার জন্যই এই হামলা চালানোহয়।

বৃহস্পতিবার সকালে ইরাকি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সিরিয়া সীমান্ত অতিক্রম করে আইএসের ঘাঁটিগুলোতে অভিযান চালায়। তাদের সহযোগিতা করে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সেনাবাহিনীও।নির্বাচন সামনে রেখে ইরাকের দিওয়ানিয়া প্রদেশে প্রচারে গিয়ে বিমান হমলার সাফল্যের জন্য বিমানবাহিনীর প্রশংসা করে আবাদি প্রতিশ্রুতি দেন বিধ্বস্ত এলাকা পুনর্গঠনের। মৃত সেনাদের পরিবারের দেখভাল করা এবং জমিদান করে তাদের সুরক্ষিত করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। তবে নির্বাচনী প্রচারের জন্য আপাতত সেই প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে বলে জানান তিনি।

চলতি মাসের শুরুতেই আবাদি বলেছিলেন, আইএস জঙ্গিদের খতম করতে তার সেনাবাহিনী যাবতীয় পদক্ষেপ নেবে। চলতি সপ্তাহেই নতুন করে তিনি বলেন, আইএস নির্মূলে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে অভিযান চালানো হবে। আসাদ সরকারের সহযোগিতায় এ অভিযান চলবে।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইরাকের পূর্ব সীমানে্ত আইএস আবারও ফিরে আসতে পারে। আর এমন ঘটনা ঘটলে তা হবে ইরাকের জন্য প্রকৃত হুমকি। আমাদের কাছে তথ্য আছে আইএসের কিছু সদস্য সিরিয়ার পূর্বাঞ্চল দিয়ে ইরাকে হামলা চালাতে চায়। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরাকে আত্মঘাতী হামলা চালাবে। এমন ঘোষণার কয়েক দিন পর বৃহস্কতিবার হামলা চালাল ইরাকি বাহিনী। এর আগে ইরাকের বাহিনী ‌হাশদ আশ-শাবি’ সিরিয়া সীমান্তেবেশ কয়েক দফায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালায়।

২০১৪ সালের জুলাইয়ে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের উত্থান ঘটে। কয়েক মাসের ব্যবধানে দেশ দুটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিশাল এলাকা দখলে নিয়ে রাকা শহরকে রাজধানী ঘোষণা করে ‌’ইসলামিক স্টেট’ নামে স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের ঘোষণা করে জঙ্গিগোষ্ঠীটি। ২০১৫ সাল থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে যেৌথভাবে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে ইরাক সরকার।

B/D/P/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে