durniti o oniom

বিডি নীয়ালা নিউজ(৮ই জুন ১৬) মারুফ সরকার (বিভাগীয় প্রতিনিধি, রাজশাহী): সিরাজগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রার জছিম উদ্দিন ভূঁইয়া ও সদর সাব-রেজিষ্ট্রার শরীফ তোরাব হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। ৮জুন ২০১৬ইং তারিখে ডাকযোগে প্রাপ্ত এ সংক্রান্ত একটি  অভিযোগপত্রের বলা হয়েছে, ডিআর গং গত সাড়ে তিন মাসে অনিয়মতান্ত্রিক পদোন্নতি ও অতি অল্প দিনের ব্যবধানে বার বার আনডিউ বদলী করে ১৯জন কর্মচারীর নিকট থেকে ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিপুল টাকার এই ঘুষ দুর্নীতির মচ্ছব করে জেলা রেজিষ্ট্রার জছিমুদ্দিন ভূঁইয়া সম্প্রতি সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ায় আনন্দ ভ্রমন করে এসেছেন। আর সাব-রেজিষ্ট্রার শরীফ তোরাব আলী আলিশান বাড়ী বানাচ্ছেন ঢাকায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রে বলা হয়েছে- একাধিক ভূক্তভোগী জানান, ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আইজিআরকে দিয়ে তাদের জেলার বাইরে শান্তিমূলক বদলী করা হবে বলে ডিআর এর পক্ষ থেকে হুমকি দেয়া হয়। এ কারণে পরিবারের অসুবিধার কথা চিন্তা করে এবং উপায়ান্তর না দেখে অতিকষ্টে তারা ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন। আবার অনেকে লোভনীয় স্থানে বদলীর সুযোগ নিতেও মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ৩/৪ মাসের মধ্যে একই ব্যক্তিকে একাধিক স্থানে একাধিকবার বদলী করা হয়েছে বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। যে কারণে জেলার বিভিন্ন সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের কর্মচারীদের মধ্যে বদলী ভীতি ও ঘুষ আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে বাধ্য হয়ে ডিআর ও সাব-রেজিষ্ট্রারের আর্থিক চাহিদা পূরণ করে চাকুরী রক্ষা করছেন। সদর অফিসের প্রধান সহকারী জাহাঙ্গীর আলম মুজমদার, অফিস সহকারী মহিউদ্দিন ও মহরার সোহেল রানা জেলা রেজিষ্ট্রারকে এসব কুকর্মে সহযোগীতা করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে। এদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এরা সবাই বিএনপি-জামায়াত রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট। সরকারী চাকুরী করলেও গোপনে তারা ওইসব রাজনৈতিক দলের অর্থদাতা হিসেবে কাজ করে থাকেন। এ ছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, জেলা রেজিষ্ট্রার ও সদর সাব-রেজিষ্ট্রার দু’জনই ঢাকা বসবাস করেন। সপ্তাহের রোববার দুপুরে ঢাকা থেকে এসে সিরাজগঞ্জে অফিস করে মঙ্গলবার বিকেলে আবার ঢাকায় ফিরে যান। অর্থাৎ তারা মাসে গড়ে ৮/১০ দিন অফিস করে থাকেন। ফলে অফিসে নানা কাজে আসা মানুষদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এখানে উল্লেখ্য, দুর্নীতির কারণে জেলা রেজিষ্ট্রার জছিম উদ্দিন ভূঁইয়াকে কুমিল্লা থেকে সিরাজগঞ্জে শাস্তিমূলক আনডিউ বদলী করা হয়েছে। এসব ঘটনার প্রকৃত তদন্ত চেয়ে শহরের মুজিব সড়কের মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিবসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রার জছিম উদ্দিন ভূঁইয়া ও সদর সাব-রেজিষ্ট্রার শরীফ তোরাব হোসেনের সাথে কথা বলতে গেলে ওই অফিসের অফিস সহকারী মহির উদ্দিন সাংবাদিকদের দেখে উত্তেজিত হয়ে অশ্লিল ভাষায় গালাগাল, কর্তব্য কাজে বাঁধা প্রদান, সংবাদ না প্রকাশের হুমকী ও মারমূখী আচরণ করেন। অভিযোগ রয়েছে, গত বছরের ১৫নভেম্বর তৎকালীন অফিস সহকারী অবসরে গেলে জেলা রেজিষ্ট্রার জছিম উদ্দিন ভূঁইয়া ১০লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে মহরার মহিউদ্দিনকে অফিস সহকারী হিসেবে পদোন্নতি দেন। জানা যায়, প্রায় ৬মাস ধরে সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে অফিস সহকারী হিসেবে যোগদান করলেও ঘুষ বাণিজ্যের টাকায় তিনি ইতিমধ্যে তার নিজ এলাকা উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার সদর ইউনিয়নে প্রায় ১০বিঘা জমি ক্রয় করেছেন।  তবে জেলা রেজিষ্ট্রার ও সদর সাব-রেজিষ্ট্রারের সাথে সরেজমিনে কথা বলতে গেলে তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে