সিরাজগঞ্জ থেকে, মারুফ সরকারঃ সিরাজগঞ্জের ভয়াল যমুনা নদী বিধৌত এলাকায় অবস্থিত চৌহালী উপজেলার নদী তীর সংরক্ষন বাঁধের ২য় পর্যায়ের কাজ শেষের দিকে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের খাস কাউলিয়া হতে স্থলচর পর্যন্ত ৭.২ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের জন্য ৩ বছর মেয়াদী ১০৯ কোটি টাকা (এডিবি’র সাহায্যে) সরকারী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এতে চুক্তি মোতাবেক ১ম ধাপে ১৬ লাখ ২২ হাজার ২৬৯টি বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং ও পেসিং এর কাজ শেষ হয়েছে। ঠিকাদার জামিল ইকবাল লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও নেদারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর শুরু হওয়া ৯০০ দিনের চৌহালী নদী তীর সংরক্ষন বাঁধের কাজ ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ হবে। এলাকার সচেতন মহল মনে করছে সঠিকভাবে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে নদী তীরের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে। পাশাপাশি রক্ষা পাবে চৌহালীর ভাটি এলাকার অসংখ্য বাড়ীঘর, ফসলী জমি, উপজেলার বিভিন্ন বিভাগীয় অফিস, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, মাদ্রাসা, এনজিও এবং সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাজাহান সিরাজ সাংবাদিকদের জানান, এই প্রকল্প কাজে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী ভাঙ্গন রোধে নদীর তলদেশে রিভেন্টমেন্ট তৈরী করা হয়েছে। যার ফলে, আল্লাহর রহমতে গত বছর ১ম পর্যায়ের কাজে এলাকার মানুষের সহযোগিতা যতটুকু পেয়েছি সেদিক দিয়ে এবারও সকলে স্বতস্ফুর্ত সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। ফলে ২য় পর্যায়ের কাজগুলো নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই শতভাগ শেষ করতে পারবো ইনশাআল্লাহ । উল্লেখ্য , এ কাজ শুরু থেকেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিকভাবে নজরে রাখছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে