সিরাজগঞ্জ থেকে,মারুফ সরকারঃসিরাজগঞ্জে এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি চাল ৫ থেকে ৭ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পডেেেছন নিম্ন আয়ের মানুষ। রবিবার সকালে শহরের বড বাজার, স্টেশন বাজার,কালিবাড়ী বাজার, বাহিরগোলা বাজার ও কাঠেরপুল বাজারে সরেজমিনে গিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তারা বলেন, গত এক মাসের ব্যবধানে পাইজাম ৪৬টাকা থেকে ৫২টাকা, মিনিকেট ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা, ২৯চাল ৩৬ থেকে ৪২টাকা, কাটারীভোগ ৪৬ থেকে ৫৪ টাকা ও গুটি স্বর্ণা ৩২ থেকে ৩৬টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।শহরের বানিয়াপট্টির চাল ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন খাদেম, সয়াধানগড়া মধ্যপাড়ার সাখাওয়াত হোসেন, রামগাতী গ্রামের ফরিদুল ইসলাম জানান, প্রতি সপ্তাহেই চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাইকারী বাজারে চালের দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এভাবে গত এক মাসের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৫/৭ টাকা করে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।শহরের দরগা রোড নিবাসী টি,এম,এ হাসান ও শহীদগঞ্জ নিবাসী আহসান হাবীব বলেন, চালের বাড়তি দামের কারণে সংসার খরচ বেড়েছে গেছে। এভাবে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে মরার উপর খাড়ার ঘা।চাতাল ব্যবসায়ী মোস্তাক আলী ও আবু তাহের বলেন, দুই মাসের ব্যবধানে প্রতি মণ ধানের দাম একশ’ থেকে দেড়শ’ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে যে ধান ছিল ৮৬০টাকা মণ, সেই ধান বর্তমানে কিনতে হচ্ছে ৯৮৫টাকায়। যে কারণে চালের মূল্য বৃদ্ধি করতে হচ্ছে।সিরাজগঞ্জ চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জুরান আলী বলেন, মৌসুম শেষ হয়ে গেলেও সরকার এখনো চাল কিনছে। অপরদিকে, ধানের মূল্যও ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলছে। এ কারণে চাল ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. জহরুল ইসলাম বলেন, বোরো মৌসুম শুরুর আগে কৃষক ও চাতাল মালিকদের কাছে ধানের সংকট থাকে। তাই ধানের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়তে পারে। এছাড়া, সরকার এখনো চাল কিনছে। ফলে চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকায় চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, দাম বৃদ্ধির কারণ তদন্তে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে প্রধান করে ৩সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে