গত কয়েকদিন ধরেই তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের মধ্যে চলছে দারুণ এক প্রতিযোগিতা। সেটি টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার লড়াই। প্রতি ইনিংসেই যেন একে অপরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন এ দুজন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার শীর্ষে উঠলেন তামিম।

পাল্লেকেলের উইকেটে সবুজ ঘাসের আধিক্য থাকলেও, টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান ডানহাতি ওপেনার সাইফ হাসান। তবে অপর প্রান্তে সাবলীল ব্যাটিং করছেন অভিজ্ঞ তামিম।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সুরঙ্গা লাকমলের প্রথম ওভারেই জোড়া বাউন্ডারি হাঁকান তামিম ইকবাল। ওভারের তৃতীয় ও পঞ্চম বলে অনসাইড দিয়েই বাউন্ডারি দুইটি মারেন তিনি। কিন্তু বিশ্ব ফার্নান্দোর করার পরের ওভারে এর উল্টোটাই করেন সাইফ।

প্রথম পাঁচ বল ডট খেলার পর শেষ বলটি আঘাত হানে তার পায়ে। শ্রীলঙ্কানদের জোড়ালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। ম্যাচের প্রথম রিভিউ নিয়ে সাইফের বিদায় ঘণ্টা বাজান লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারাত্নে, শূন্য রানে ফিরতে হয় সাইফকে।

সঙ্গীকে হারালেও তামিম পরের ওভারে আবার হাঁকান বাউন্ডারি। এমনকি বিশ্বর ওভারেও তাকে খেলতে দেখা যায় সাবলীলভাবে। এই বাঁহাতি পেসারের করা ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে তিন চারের মারে ১৪ রান নেন তামিম। একইসঙ্গে ছুঁয়ে ফেলেন টেস্টে ৪৫৩৭ রান করা মুশফিককে।

বিশ্বর করা পরের ওভারের প্রথম বলে এক রান নিয়ে মুশফিককে ছাড়িয়ে যান তামিম। মুশফিকের সাতটি টেস্ট কম খেলেই এ রান করে ফেলেছেন বাঁহাতি ওপেনার তামিম। রান তোলার গড়েও এগিয়ে তামিম। মুশফিক রান করেছেন ৩৬.৫৮ গড়ে, অন্যদিকে তামিমের রান এসেছে ৩৮.৪৫ গড়ে।

এদিকে শুরুতে উইকেট হারিয়ে খানিক চাপে পড়লেও, দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তা সামাল দিয়েছেন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এরই মধ্যে গড়ে ফেলেছেন পঞ্চাশ রানের জুটি। লাহিরু কুমারার করা ইনিংসের ১২তম ওভারে ফের তিন চার হাঁকান তামিম। এই ওভারেই পূরণ হয় দলীয় পঞ্চাশ।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দিনের প্রথম ঘণ্টা শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১২ ওভারে ১ উইকেটে ৫৫ রান। তামিম ইকবাল ৩৬ বলে ৪৩ ও নাজমুল শান্ত ৩০ বলে ৪৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক
১/ তামিম ইকবাল – ১২০ ইনিংসে ৪৫৩৮* রান, সেঞ্চুরি ৯টি
২/ মুশফিকুর রহীম – ১৩৪ ইনিংসে ৪৫৩৭ রান, সেঞ্চুরি ৭টি
৩/ সাকিব আল হাসান – ১০৬ ইনিংসে ৩৯৩০ রান, সেঞ্চুরি ৫টি
৪/ মুমিনুল হক – ৭৮ ইনিংসে ৩০৪৮ রান, সেঞ্চুরি ১০টি
৫/ হাবিবুল বাশার – ৯৯ ইনিংসে ৩০২৬ রান, সেঞ্চুরি ৩টি

JA/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে