ডেস্ক স্পোর্টসঃ ভুটান যে বাংলাদেশের কাছে পাত্তা পাবে না, তা জানাই ছিল। দেখার বিষয় ছিল, কত গোলে জিততে পারে বাংলাদেশ? ভুটানের সঙ্গে ৩-০ গোলে জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। জোড়া গোল করেছে ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন এবং একটি গোল করেছে বদলি মিডফিল্ডার সাজেদা খাতুন।

নারী ফুটবলে বাংলাদেশের সামনে ভুটান এখনো শিশুর মতোই। এই তো ২০১৫ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপে তাদের ১৬ গোল দিয়েছিল বাংলাদেশ। আজও মাঠে ছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীদের একচেটিয়া দাপট। আঁখি-মারিয়াদের দাপটটা ৩-০ গোলের ব্যবধানও বোঝাতে পারছে না। একটি তথ্য দিয়ে কিছুটা পরিষ্কার করা যেতে পারে, বাংলাদেশের গোলরক্ষক মাহমুদাকে হাত দিয়ে একটা বলও ধরতে হয়নি। অলস সময় কাটিয়েছে!

১৩ মিনিটেই আঁখির গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। মার্জিয়ার কর্নার থেকে হেডে গোলের খাতা খুলেছে। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছে এই সেন্টারব্যাক। নিচ থেকে আক্রমণগুলো সাজানোর শুরু তার পা থেকেই। পুরো দলটাও যেন এক সুতোয় গাঁথা। সেটপিসগুলোতে আছে পরিকল্পনার ছাপ। দ্বিতীয় গোলটিও যেমন এল কর্নার থেকে। একেবারে প্রথম গোলের রিপ্লে মনে হলো দ্বিতীয় গোলটি সে একই মার্জিয়া কর্নার নিল, শুধু হেডের জায়গায় পা ছুঁয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করল আঁখি।

গোল হতে পারত অনেক। কিন্তু আনুচিং, তহুরুরা এটার্কিং থার্ডে ঢুকলেই আটজনের রক্ষণ দেয়াল। মিডল করিডরে পায়ের জঙ্গল বানিয়ে রাখা। ফলে ওপেন প্লেতে খোলা যাচ্ছিল না গোলমুখ। সেট পিসগুলো কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ সেই দেয়াল এড়িয়ে গেছে। তহুরার বদলি নেমে ৭৯ মিনিটে সাজেদার সলো রান বানিয়ে দিয়েছে ৩-০।

নেপালের বিপক্ষে ৬-০ গোলের পর ভুটানের বিপক্ষে আজ ৩-০ ব্যবধানে জয়। টানা দুই জয়ে ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল বাংলাদেশ। আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে ভারত হারালেই এক ম্যাচ হাতে রেখে ফাইনালে চলে যাবে বাংলাদেশ।

 

 

 

Pr/A/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে