ডেস্ক রিপোর্ট: সাত দিনের মধ্যে বিসিকের মাঠ পর্যায়ে ফাইল নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা দিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। কোন শিল্পোদ্যোক্তা যাতে অযথা হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে বিসিকের শিল্পনগরীসমূহের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আজ রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিসিকের বার্ষিক সম্মেলন ২০১৯-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
বিসিকের চেয়ারম্যান মোঃ মোশ্তাক হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিম। দুই দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনে বিসিকের সদর দপ্তর, বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহে কোন প্রকার দুর্নীতি হলে সেটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিমন্ত্রী এসময় শিল্পনগরীসমূহে শিল্পকারখানা ব্যতিত যাতে অন্য কোনো স্থাপনা না থাকে, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণা অনুযায়ী গ্রামকে শহরে পরিণত করতে স্থানীয় কাঁচামালভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের বিষয়ে বিসিকের আরও তৎপরতা আবশ্যক।
প্রতিমন্ত্রী মাঠ পর্যায়ে ভালো কাজের জন্য কর্মকর্তাদের বিশেষ ইন্সেন্টিভ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিসিকের প্রতি আহ্বান জানান।
শিল্পনগরীসমূহের খালি প্লটসমূহে নতুন শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে জেলা পর্যায়ে মোটিভেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করার পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিসিকের লক্ষ্যমাত্রাসমূহের অগ্রগতি এবং বার্ষিক সম্মেলনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের যে সকল লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে, সেগুলো শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী লবণ চাষীদের জন্য লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বিসিকের উদ্যোগে নিজস্ব লবণের গুদাম স্থাপন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র পরিচালনা করা যায় কিনা তা বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে শিল্প সচিব বলেন, অনগ্রসর জেলাসমূহের সম্ভাবনাপূর্ণ শিল্পসমূহকে এগিয়ে নিয়ে আসার উপর বিসিককে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। গ্রামাঞ্চলে শিল্প বিকাশের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সাম্য নিয়ে আসতে হবে যা টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই লক্ষ্যে বিসিককে মাস্টারপ্ল্যান ও রোডম্যাপ তৈরির পরামর্শ দেন শিল্পসচিব।
তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধির প্রবণতা কমাতে প্রকল্প পরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের আরো কর্মতৎপর হতে হবে।
সচিব বলেন, বিসিক আইন ১৯৫৭ সংশোধন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আইনটি এখন পর্যালোচনা পর্যায়ে আছে। শিল্পনগরীসমূহে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ওয়ানস্টপ সার্ভিসের সুবিধা বিসিক আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিসিকের চেয়ারম্যান ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বিসিকের কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের মতো আধুনিক শিল্প নগরী বিসিকের অধীনে স্থাপন করা হবে। এ জন্য চারটি আমব্রেলা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

P/B/A/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে