মাফি মহিউদ্দিন কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস আতঙ্কে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যেখানে সরকারীভাবে সাধারণ ছুটি ঘোষনার পাশাপাশি দোকানপাট অফিস আদালত বন্ধ রাখা হয়েছে। সেখানে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সরকারী সিদান্তকে অমান্য করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নিমার্ণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
ফলে করোনার উপকরণ ছাড়াও সামাজিক নিরাপত্তা বজায় না রেখে একই স্থানে কাজ করার কারণে শ্রমিকরা করোনা আক্রান্তের ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে এলাকার সচেতন মহল অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার এলাকাবাসীর অভিযোগে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের ঝলঝলি পাড়া শহিদুলের মোড় হতে উপজেলা প্রকৌশল অফিসের সার্ভেয়ার নইমুল ইসলামের বাড়ির সামন পর্যন্ত ৮শ ৪৮ মিটার সড়কের বস্ককাটিং কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
সড়কটির ডাব্লিউভিএম কাজ করার জন্য সড়কটির দুইপাশ্বে নিম্নমানের ইট এনে খোয়া করে রাখা হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক করোনা ভাইরাসের কোন রকম উপকরণ ছাড়া সড়কের এজিংয়ের কাজ করছেন।
ঝলঝলিপাড়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা এজানুর রহমান বলেন, সড়কটির নিমার্ণ কাজে বক্য্রকাটিং করার পর সঠিকভাবে মজবুতিকরণ করে তারপর ডাব্লিউভিএম করার কথা কিন্তু ঠিকাদার নদী খননের বালু দিয়ে যেনতেনভাবে মজবুতিকরণ করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে করোনা আতঙ্কের মাঝেই ডাব্লিভিএম করার সমস্ত প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন।
সড়ক নিমার্ণ কাজের সাইড মিস্ত্রি সাজেদুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ভাই ভাঁটা থেকে ইট নিয়ে আসার সময় কিছু খাঁরাপ ইট আসতে পারে। এটা কোন বিষয়না।
কাজ বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক ঠিকাদার মিলন মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ রাখার কোন নিয়ম নেই। এ বিষয়ে আপনি সংশ্লিষ্ট অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
সড়ক নিমার্ণ কাজের তদারকি কর্মকতার্ নইমুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের জন্য তাঁর মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
তদারকি কর্মকতার্র উপস্থিতি ছাড়া ও করোনা ঝুকির মধ্যে সড়কের নিমার্ণ কাজ চলমান থাকার বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার আবুল কালাম আজাদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছি।
উল্লেখ্য যে বাহাগিলি ইউনিয়নের শহিদুলের মোড় হতে নইমুল ইসলামের বাড়ির সামন পর্যন্ত ৮শ ৪৮ মিটার সড়ক নিমার্ণ কাজের জন্য প্রকৌশল দপ্তর থেকে ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
