ডেস্ক রিপোর্টঃ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এর রোগী দেখার আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো আজ। সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন আনুষ্ঠানিকভাবে রোগী দেখা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার আবুল কালাম, জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডাঃ সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি।

চিকিৎসা সেবার উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইনস্টিটিউটটি আমাদের সবার মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবে এর সেবা দেওয়ার মাধ্যমে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ৫শ শয্যা বিশিষ্ট ইনস্টিটিউটে সেবা দেয়ার মাধ্যমে সবার কাছে স্বরণীয় হয়ে থাকবে। আমাদের দেশের স্বাস্থ্যসেবা অনেক এগিয়ে গেছে। যার ফল মানুষের গড় আয়ু এখন ৭৩ বছর হয়েছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে সফলতা হিসেবে মাতৃমৃত্যুর হার, শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমে গেছে। আশা করি এই ইনস্টিটিউটটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে।

প্রতিবছর সারা দেশে ৬ লক্ষ মানুষ বিভিন্নভাবে দগ্ধ হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসকল রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য এটি সফল ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে বিশ্বের অত্যাধুনিক সব ধরনের যন্ত্রাংশ, আধুনিক সব সুবিধা রয়েছে। সেবার পাশাপাশি এখানে চিকিৎসা শিক্ষারও ব্যবস্থা রয়েছে। সিঙ্গাপুরের সাথে এ বিষয়ে একটি চুক্তিও রয়েছে।

খুবই অল্প সময়ের মধ্যে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই স্থাপনাটির নির্মাণ করায় তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মন্ত্রী। এখানে তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণীর নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে অনেক পরিমান তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী, ডাক্তার, নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। যার প্রক্রিয়া চলছে। প্রাথমিকভাবে কিছু নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পরবর্তী বাকি সব নিয়োগ দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য সেবায় আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি বিভাগে ক্যান্সার হাসপাতাল, কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট সহ হাসপাতাল চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডাঃ সামন্ত লাল সেন বলেন, প্রতিবছর দেশে ছয় লক্ষ মানুষ বিভিন্নভাবে দগ্ধ হয়। এবং তালুকাটা, ঠোঁট কাটা সহ প্রায় ১৩ হাজার শিশুর জন্ম।হয়। তাদের চিকিৎসাও এই ইনস্টিউটে দেওয়া সম্ভব হবে। এটি আন্তর্জাতিক মানের একটি ইনিস্টিটিউট। প্রধানমন্ত্রী এটির উৎসাহদাতা। তার উৎসাহেই আজ এটি সেবা দিতে সফল। এর মাধ্যমে আমরা সেবা দিয়ে প্রমাণ করতে চায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মানের সেবা দেওয়া সম্ভব।

উদ্বোধনের পর থেকেই বহির্বিভাগে রোগী দেখেন চিকিৎসকরা। এখানে আপাতত শুধু বহির্বিভাগের রোগীদেরই চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। কিছুদিন পর থেকে এখানে জরুরী সেবা ও রোগী ভর্তির কার্যক্রম চলবে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।

পিবিএ/বাখ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে