জি,এম স্বপ্না, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সূর্যের দেখা মেলেনি। কনকনে শীতে কাঁপছে এখানকার মানুষ। পৌষের শীতে তুষ করছে জনজীবন ও প্রাণীকুল।

ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে চরমে। মঙ্গলবার সকাল থেকে মৃদু বাতাস বইতে শুরু করেছে। তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন।

সলঙ্গা মাদ্রাসা মোড় এলাকায় ভ্যানচালক জানবক্স (৬৫) বলেন, আজ খুব ঠাণ্ডা পড়ছেে, তার উপর বইছে বাতাস।

সারাদিনে সূর্য দেখা যায়নি। এই বয়সে প্রচন্ড শীত আর ঠাণ্ডা বাতাসে ভ্যান চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। হাটিকুমরুল রোড গোল চত্বর এলাকার বৃদ্ধা এক ভিক্ষুক জমিরন বেওয়া (৬০) বলেন,ঘরে খাবার নাই, পেটে ক্ষুধার জ্বালা। তাই ঠাণ্ডা বাতাস আর প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে মানুষের কাছে হাত বাড়িয়েছি।

ভুইয়াগাতী বাসস্ট্যান্ডের ক্ষুদে ব্যবসায়ী রহমত (৩৮) জানায়,গত কয়েক দিনের ঠান্ডায় জ্বর আর সর্দি কাশি লেগেই আছে। ঘরে শুয়ে থাকার কপাল না।

শীত আর বাতাসের মধ্যেও পেটের দায়ে ফুটপাতে বসে দোকান্দারি করছি। সলঙ্গা থানা মোড় সিএনজি স্ট্যান্ডে অপেক্ষমান এক শিক্ষক বলেন, আজকে সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় চারপাশ ঢাকা পড়েছে।তবুও বাধ্য হয়েই কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান,সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু আর বৃদ্ধরা। এত শীতের মধ্যেও স্কুলে যাচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। সলঙ্গা উপ- স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্যাকমো জাহিদুল ইসলাম জানান,শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে