ডেস্ক রিপোর্টঃ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে বাংলাদেশের প্রয়াত চারুশিল্পী ও আলোকচিত্র শিল্পীদের ধারাবাহিক ‘স্মৃতিসত্তা ভবিষ্য’ শীর্ষক স্মরণানুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
এই কর্মসূচির অধীনে একাডেমি দেশের প্রয়াত ১০ জন চারুশিল্পী ও আলোকচিত্র শিল্পীর জীবন ও কর্ম বিষয়ে সেমিনার ও আলোচনাসহ স্মরণানুষ্ঠানের কর্মসূচি পালন করছে।
এরই অংশ হিসেবে একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ও শিল্পী পটুয়া কামরুল হাসান স্মরণে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা বলেন, এই দুই শিল্পীই বাংলাদেশে চারুশিল্পের শীর্ষ ব্যক্তিত্ব। তারা উভয়েই আমাদের চারুশিল্পকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে শিল্পী মোস্তফা মনোয়ার বলেন, শিল্পাচার্যের দুর্ভিক্ষ সিরিজের শিল্পকর্মগুলো সেকালে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রদর্শিত হলে বিশ্ববাসী জানতে পারে যে জয়নুল বিশ্বের অন্যতম একজন শ্রেষ্ঠশিল্পী। তার এই সিরিজের ক্যানভাসগুলো অমর সৃষ্টি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
চার দিনব্যাপী স্মরণ অনুষ্ঠান রোববার সন্ধ্যায় উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। তিনি বলেন, আামাদের চারুশিল্প ও আলোকচিত্রের শীর্ষমানের অনেক শিল্পী প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু তাদের শিল্পীকর্ম আমাদের পথিকৃৎ হিসেবে অমরকর্ম হয়ে রয়েছেন। আজীবন এই জাতিকে তাদের স্মরণ করতে হবে। এই বোধ থেকে একাডেমির পক্ষ থেকে এই শিল্পীদের নিয়ে স্মরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক শিল্পী মনিরুজ্জমান। এতে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ওপর শিল্পসমালোচক মইনুদ্দিন খালেদ ও পটুয়া কামরুল হাসানের ওপর মফিদুল হক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন, অধ্যাপক বুলবন ওসমান, শিল্পসমালোচক মইনুদ্দিন খালেদ, শিল্পী নিসার হোসেন ও সুমনা হাসান।
মফিদুল হক প্রবন্ধে বলেন, বাংলাদেশের চারুশিল্পের জনক হচ্ছেন শিল্পচার্য জয়নুল। তিনিই প্রথম পঞ্চাশের প্রথম দিকের দুর্ভিক্ষ নিয়ে জগৎবিখ্যাত সৃষ্টিধর্মী চিত্রকর্ম উপহার দেন। তার সমগ্র শিল্পকর্মে নিজস্বতা দীপ্যমান ও প্রতিষ্ঠিত। অন্যদিকে পটুয়া কামরুল ভিন্ন আঙ্গিকে আধুনিক চিত্রকর্ম সৃষ্টি করেছেন। এই দুই শিল্পীই আমাদের চিত্রকর্মকে বিশ্বের মাঝে তুলে ধরে বাঙালি চিত্রকর্মকে বিশ্বজনীন করেন।
শিল্পকলা একাডেমি থেকে বাসসকে জানানো হয়,এই কর্মসূচি আয়োজনের দ্বিতীয় দিনে ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে শিল্পী শফিউদ্দীন আহমেদ ও শিল্পী এস এম সুলতান, ৩১ অক্টোবর শিল্পী মোহাম্মদ কিবরিয়া, শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী ও আলোকচিত্রী মঞ্জুর আলম বেগ এবং ১ নভেম্বর আলোকচিত্রী নাইবউদ্দিন আহমেদ, ড. নওয়াজেশ আহমেদ ও রশিদ তালুকদার স্মরণানুষ্ঠান হবে।

B/S/S/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে