মারুফ সরকার, বিনোদন প্রতিনিধি: উল্লিখিত কথাটি বলেছেন অভিনেত্রী ইছমিত জেরিন মিথিলা, যিনি জেরিন মিথিলা নামেই সমধিক পরিচিত। জেরিন মিথিলা পরিচালক খালেদ মাহমুদ মিঠুর ঋণশোধ টেলিফিল্ম দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও চলচ্চিত্রেই বেশি নিজেকে প্রসারিত করেছেন। বর্তমানে চলচ্চিত্রে চলছে তীব্র তারকা সংকট। নায়ক এবং নায়িকা করার মতো অনেকেই আছেন এবং অনেকেই আসছেন। কিন্তু নির্ভর করার মতো কোনো নায়ক বা নায়িকা তৈরি হচ্ছে না। বাণিজ্যিক ছবির নির্মাতারা কাউকে মেজেঘষে তৈরি করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেনা। সেক্ষেত্রে জেরিন মিথিলা অনেকটাই তৈরি হওয়া মেয়ে। ইতোমধ্যেই তার অভিনীত একাত্তরের গেরিলা, মধু হৈহৈ বিষ খাওয়াইলি মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে নজরুল ইসলামের রানা প্লাজা, গাজী জাহাঙ্গিরের প্রেমের বাঁধন এবং অপর একজন পরিচালকের বীর বাঙ্গালি নামে একটি ছবি। তিনি জানান, আরো কয়েকটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া আছে। শুরু হওয়ার আগে নাম বলা নিষেধ। তবে তিনি কয়েকজন পরিচালকের নাম উল্লেখ করেন। তারা হলেন চটপটি ছবির নির্মাতা তারেক মাহমুদ, মুকুল নেত্রবাদী এবং সাদেক সিদ্দিকী।

উল্লেখ্য, ঋণশোধ টেলিফিল্মটি ছাড়াও তিনি সাদেক সিদ্দিকীর চারটি টেলিফিল্ম, ইহা একটি নতুন ধারাবাহিক নাটক এবং একটি টিভি চ্যানেলে নিয়মিতই তার একটি ফ্যাশন শো প্রচারিত হচ্ছে। তবে তিনি টিভির চাইতে চলচ্চিত্রকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। জেরিন মিথিলা বলেন, ‘আমি দ্বিতীয় সারির নায়িকা হতে চাই না। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে শাবনূরের মতো জনপ্রিয়তা পেতে চাই। পাশাপাশি আমি একজন ভালো অভিনেত্রীও হতে চাই যাতে সবাই আমাকে এক নামে চেনে।’ তিনি বলেন, ‘আমি ভালো পরিচালকদের ছবিতে কাজ করতে চাই। ভালো পরিচালক বলতে যারা গুণগত মানসম্পন্ন ছবি নির্মাণ করেন। সকলের সহযোগিতা পেলে আমার বিশ্বাস আমি প্রত্যাশার চাইতেও বেশি ভালো করতে পারব। কারণ আমার মধ্যে ভালো করার সততা আছে।

আমার চেষ্টা আছে। সুতরাং আমার ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এলএলবি পড়ুয়া জেরিন মিথি বলেন, ‘মিডিয়ার জন্য পুরোপুরি নিবেদিত আমি। কোনো পিছুটানও নেই আমার।’ পটুয়াখালীর মেয়ে জেরিন মিথিলা বলেছেন, তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। নির্মাতারা বলেন, ‘বর্তমান তারকা সংকটে জেরিন মিথিলা হতে পারেন নির্ভরশীল একজন তারকা।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে