তলেয়াড় এবং বন্দুকের লড়াইয়ে জিতে এবার আফগানিস্তানের নাম বদলে দিচ্ছে তালেবান। দেশটির নতুন নাম হতে যাচ্ছে ‘ইসলামিক অ্যামিরেটস অব আফগানিস্তান’।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা তালেবানদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, খুব দ্রুতই ‘ইসলামিক অ্যামিরেট অব আফগানিস্তান’-এর ঘোষণা করা হবে। কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে এই ঘোষণা দেবেন তালেবান নেতারা।

এদিকে, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর তালেবানকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি।
রাজধানী কাবুল ‘পতনের’ মুখে তিনি পালিয়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নেন। এতে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন আশরাফ গনি। অবশ্য, তিনি দাবি করেছেন, রক্তবন্যা এড়ানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।


রোববার তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ নায়েম কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আফগানিস্তানের সব রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য তালেবান প্রস্তুত। আফগান রাজনৈতিক নেতাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষার নিশ্চয়তাও দেবে তালেবান। তালেবান বিচ্ছিন্নভাবে থাকতে চায় না। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায়।  

এ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী একটি সরকারের হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার নয়, সরাসরি ক্ষমতা চায় তালেবান।   
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রও তালেবানের পাশেই থাকার ঘোষণা দিয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানয়েছে, আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন রোববার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তালেবানের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আমেরিকা, তবে তার আগে তাদের নিশ্চিত করতে হবে যে সেদেশে কোনোভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে না। বিশেষ করে নারীদের অধিকার কোনোভাবে খর্ব করা হবে না। পাশাপাশি জঙ্গিদেরও কোনোভাবে সেদেশে আশ্রয় দিতে পারবে না তালেবান।  

এর আগে ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হামলায় ক্ষমতাচ্যুত হয় তালেবান। তবে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়া শুরু করতেই ক্ষমা প্রদর্শন করে একের পর এক এলাকার দখল নেয় তালেবান।  

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে