ডেস্ক রিপোর্টঃ দেশের সকল বিশেষায়িত হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ এবং সদর হাসপাতালগুলোকে রাসায়নিক হামলায় আহতদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস)। যাতে জঙ্গিরা কখনো রাসায়নিক হামলা চালালে দ্রুত জরুরি চিকিৎসা সেবা সরবরাহ করা সম্ভব হয়।

বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে যে হামলা চালানো হয় তাতে আহতদেরকে অতি দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসা সেবা দিতে হয়। নয়তো মৃত্যু অবধারিত।

স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর (হাসপাতাল) এর পরিচালক ড. কারী জাহাঙ্গীর হোসেন রবিবার গণমাধ্যমকে বলেন, গত ২৬ আগস্ট ২০১৮ তারিখে স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর থেকে বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজের পরিচালক এবং সকল সদর হাসাপাতালের সিভিল সার্জন/উপপরিচালকদের বরাবরে এই বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর গণ নিরাপত্তা বিভাগের সরবরাহ করা তথ্যের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’ ড. জাহাঙ্গীর আরো বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথমে এই তথ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল গত ৩ মে ২০১৮ তারিখে। এরপর গত ৪ জুন ২০১৮ তারিখে স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরেও একই নির্দেশনা পাঠানো হয়।’

এ ছাড়া প্রতিটি হাসপাতালেও আলাদাভাবে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালগুলোকে বলা হয়েছে, একটি বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করার জন্য। যে টিমের সদস্যরা রাসায়নিক হামলায় আহতদেরকে জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে পারবে। আর টিমের সকল সদস্যের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতেও হাসপাতালগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যে কোনো ধরনের জরুরি স্বাস্থ্য সেবা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সরঞ্জাম এবং ঔষুধ মজুদ করে রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর হাসপাতালগুলোকে সার্বক্ষণিকভাবে অ্যাম্বুলেন্স সেবা তৈরি রাখা এবং প্রতিটি অপারেশন থিয়েটারে বিকল্প বা জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করারও নির্দেশনা দিয়েছে।

এ ছাড়া সকল সরকারি হাসপাতালকেও রাসায়নিক হামলায় আহতদের জরুরি চিকিৎসা সেবা সরবরাহের সক্ষমতা অর্জন এবং এর জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

K/K/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে